দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া
এদিন সকালে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি দলের প্রার্থী ড. হরেকৃষ্ণ বেরাকে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, তৃণমূল হার্মাদ দ্বারা থানার সামনে প্রহৃত হলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী ড. হরেকৃষ্ণ বেরা। তাঁকে দেখতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে দিদির সরকার। গর্জে উঠে ইভিএমে জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে হামলার শিকার
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সেই সময়ই দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরে হামলা চালায়। স্থানীয়দের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ থানার সামনেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।
বিজেপির হুঁশিয়ারি
প্রার্থীর ওপরে হামলার প্রতিবাদে বিজেপির তরফ থেকে পথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, প্রথম দফার নির্বাচনের পরে তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁরা হারছে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদার মারধর করা হচ্ছে। মানুষকে ভয় দেখাতে রাজ্যে সন্ত্রাসের আবহত তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের
তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির প্রার্থীর ওপরে হামলার সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে তাদের এক কর্মীকে মারধর করেছিল বিজেপিকর্মীরা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, এই অভিযোগ তুলেছেন। গাঠছে বেঁধে তৃণমূলের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর। সেই ঘটনায় অভিযোগ জানাতে তমলুক থানায় গিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী সামনে পড়ে যান। জনরোষের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তবে প্রার্থীকে মারধরের ঘটনাকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর এই ঘটনায় পুলিস আতেহার রহমান নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এদিন তাঁকে তমলুক আদালতে তোলা হয়।