নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে তৃণমূল বিজেপি হাতাহাতিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আচমকাই মঙ্গলবার দুপুরে দুই দলের মিছিল মুখোমুখি চলে আসে। শুরু হয় দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা। সেখান থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি।

উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। উল্লেখ্য এই টেঙ্গুয়া মোড় দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যায়। তারপরেই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাতাহাতিতে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও দুই পক্ষের কেউই আহত হননি বলে খবর। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

তৃণমূল বিজেপির হাতাহাতির পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার আবেদন করেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

শুভেন্দু বলেন মঙ্গলবার আকাশপথে গোটা এলাকায় টহল দিয়েছেন আইজি। ইতিমধ্যেই ৭৬টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এলাকার সবকটি বুথকেই স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন। তবে ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হবে বলেই তিনি আশাবাদী। টেঙ্গুয়া মোড়ের হাতাহাতির ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এদিন দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে এই টেঙ্গুয়া মোড়ের কাছেই শেষবেলার প্রচারে উত্তেজনা ছড়াল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে শোনা যায় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার ভাড়াবাড়ি থেকে নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। সেই পথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির পাশে জড়ো হয় একদল বিজেপি সমর্থক। তৃণমূল সুপ্রিমোর গাড়ির পিছনে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে-দিতে ছুটতে শুরু করেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। শেষমেশ ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশকর্মীরা বিজেপিকর্মীদের আটকে দেন। সোজা নন্দীগ্রামের দিকে চলে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি।

রেয়াপাড়ার পরে এদিন সোনাচূড়াতেও একইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। সেখানেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। আগামী ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।