অবস্থিতি
অসমের কাছার জেলার অন্যতম আকর্ষণ বরাইল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য স্পর্শ করেছে ডিমা হাসাও জেলাকেও। পাহাড় দিয়ে ঘেরা ৩২৬.২৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই জঙ্গলটি কাছাড় ও বরাইল সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংযুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে। এই স্থানের কিছু অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে এখানকার আবহাওয়া এবং পরিবেশ বেশ মনোরম। তেমনই সুন্দর এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ। চিরসবুজ ও অর্ধ চিরসবুজ আবরণ এই বনাঞ্চলের অন্য আকর্ষণ।
কীভাবে যাবেন
শিলচর এবং করিমগঞ্জ থেকে বরাইল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ফলে অসমের অন্যতম বৃহত্তম এই বনাঞ্চলে পৌঁছনোর আগে শিলচরে নোঙর বাঁধেন পর্যটকরা। সেখানে এক রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা হন অনেকে। কেউ আবার গুয়াহাটি থেকে সড়ক পথে সরাসরি বরাইল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে ঢুঁ মেরে যান।
কী কী দেখবেন
১) উদ্ভিদ - চিরসবুজ ও অর্ধ চিরসবুজ বনাঞ্চলে পাহাড়ি গাছের মেলা। জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস, বাঁশ ও অর্কিডও দেখা যায়।
২) প্রাণী - হাতি, চিতাবাঘ, বন বিড়াল, উল্লুক, রামকুত্তা, ভাল্লুক, হনুমান। তবে চোরা শিকারীদের দাপটে বরাইল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে।
৩) সরীসৃপ - পাইথন, কচ্ছপ ইত্যাদি।
৪) পাখি - ধনেশ, হাড়গিলা ছাড়াও বিভিন্ন মরসুমে এই বনে উড়ে আসে পরিযায়ী পাখিরা।
৫) বন্য জন্তুদের প্রত্যক্ষ করতে জঙ্গলে ওয়াচ টাওয়ারের সুবিধা রয়েছে।
কোথায় থাকবেন
বেশিরভাগ পর্যটক শিলচরে এক রাত থেকে পরের দিন বরাইল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের দিকে রওনা হন। অনেকে আবার করিমগঞ্জ থেকে এই সুবিশাল বনাঞ্চল প্রত্যক্ষ করার জন্য রওনা হয়ে থাকেন।