ভারতের গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে চলছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড অর্থাৎ বিএসএনএল। ভারতের নানা রাজ্যে গ্রামগুলিতে ব্রডব্যান্ড চালু করতে চলেছে তারা। এর ব্রডব্যান্ডে গ্রামের গ্রাহকরা পাবে ইন্টারনেট ও ফ্রি কলের পরিষেবা।
প্রায় ৭.৬৯ মিলিয়ন মানুষ বিএসএনএল এর ব্রডব্যান্ড প্ররিষেবা গ্রহণ করে থাকে। আর এবার ভারত এয়ার ফাইবার সার্ভিস গ্রামের মানুষদের কাছে তাদের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৎপর। এই পরিষেবার ফলে গ্রামীন গ্রাহকরা পাবে ইন্টারনেট ও ফ্রি কথা বলার সুবিধা। বিএসএনএল এর ভারত এয়ার ফাইবার সার্ভিস এবং ভারত ফাইবার ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুটি সম্পূর্ণ আলাদা। তার কারণ ভারত ফাইবার ব্রডব্যান্ড সার্ভিস গ্রাহকরা সংযোগ করতে পারে তারবীহিন ভাবে কিন্তু ভারত এয়ার ফাইবার সার্ভিস গ্রাহকদের নিতে হবে তারের সংযোগে।
ভারত এয়ার ফাইবার ফ্রি স্পেকট্রাম চালু করেছে, এর অর্থ গ্রাম এলাকাগুলিতে এই পরিষেবা ফ্রিতে পাওয়া যাবে। বিএসএনএল এর এয়ার ফাইবার সার্ভিস পাবে গ্রামীন এলাকার মানুষ এবং ভারত ফাইবার এফটিটিএইচ সার্ভিসটির সুবিধা পাবে গ্রামীন এবং শহুরে উভয় জায়গার লোকেরা।
বিএসএনএল এর এই নতুন পরিষেবাটি ভারতের আন্দামান নিকোবর, আন্ধ্রাপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, আসাম, গুজরাট, হারিয়ানা, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা, কোলকাতার মতো রাজ্যগুলিতে চালু করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভারতের দক্ষিণ কন্নড় এবং উদুপিতে চালু করা হবে।
দক্ষিণ কন্নড় টেলিকম জেলার প্রিন্সিপাল জেনারেল ম্যানেজার রবি জিআর এই পরিষেবা চালু করার সময় জানিয়েছেন, ভারত এয়ার ফাইবার পরিষেবাগুলি বিএসএনএল অবস্থিত গ্রামীন এলাকাগুলিতে মিলবে। তারবিহীন পরিষেবাগুলি ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত পাবে গ্রাহকরা। তবে ভারতের দক্ষিণ কান্নড় জায়গাটি পার্বত্য অঞ্চল হবার কারণে তারবিহীন পরিষেবাগুলি ২০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে থাকলেই মিলবে গ্রাহকদের। এর পাশাপাশি তিনি আরও উল্লেখ করেন, গ্রাহকরা এই পরিষেবায় পাবে ৬০ এম্বিপিএস পর্যন্ত ইন্টারনেট স্পিড এবং প্রতি মাসে ৩৩০০ জিবি ডাটা।
গ্রামের মতো শহরেও এই পরিষেবা কবে থেকে মিলবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে শহুরে গ্রাহকরা চাইলে বিএসএনএল এর ভারত ফাইবার পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.