মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চের কথা
১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৮ দিন পরে রবিবার বিকেলে সেখানেই সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকে ২০০৭-এর ১৪ মার্চের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। পুলিশের গুলি চালনা নিয়ে অধিকারী পরিবারের দিকে অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাপ-বেটার অনুমতি না থাকলে সেখানে পুলিশ ঢুকতে পারত না। তিনি আরও বলেন, ওদিন যে পুলিশ ঢুকবে, গণ্ডগোল হবে, তা কি গদ্দার জানতেন না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, সেই সময় বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে তাঁদের কতবার কথা হয়েছিল?
ছিল না অধিকারীদের কেউ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ১৪ মার্চ তাঁকে সতর্ক করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনিই বলেছিলেন কলকাতায় ফিরে যেতে, না হলে পেট্রোল বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়ার আশঙ্কাও তিনি করেছিলেন। সেদিনও ওদের (অধিকারী) কেউ ছিল না। তেখালিতে তাঁকে (মমতা) লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছিল। সেই সময়ও বাপ-বেটা কাউকেই দেখা যায়নি।
দিলীপের প্রশ্নবান
এদিন রবিবারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কতজনকে সাজা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো পুলিশ আধিকারিকদের প্রোমোশন দিয়ে সেটিং করেছেন। সেইদিন গুলি চালনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ আধিকারিক এখন তৃণমূলে বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তাঁর আরও প্রশ্ন দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও নন্দীগ্রাম কাণ্ডের তদন্ত কেন করা হল না। হারবেন বুঝে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব মন্তব্য করেছেন, বলেছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন নন্দীগ্রামে স্বজন হারাদের জন্য কী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন ১০ বছরে কতবার নন্দীগ্রামে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন এতদিন একটা অফিস খুলে সেখানে উন্নয়ন করা হল না
বিজেপির নেতাকে গদ্দারি শেখাচ্ছেন
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর মতো যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের গদ্দার বলে সম্বোধন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গদ্দার, মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতকের দল বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন কংগ্রেস ছেড়ে যদি উনি গদ্দার না হন, তাহলে এঁরা (শুভেন্দু) কী করে গদ্দার হলেন? বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ওকে গদ্দারি শেখাচ্ছেন। গদ্দারিটা উনিই করেছিলেন, তাই বাকিদের গদ্দার বলার অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।