বেশ কিছু ইলেকট্রনিক প্রমাণ উদ্ধার
এনআইএ মনে করছে এই জিনিসগুলি প্রধান অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড এপিআই সচিন বেজ ও তার সহযোগীরা অপরাধের সময় ব্যবহার করেছিল। উদ্ধারের জায়গায় বেজকে ওই জিনিসগুলি সনাক্ত করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সচিন বেজের প্রাক্তন অধীনস্ত এপিআই রিয়াজ কাজিকেও উদ্ধারের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যিনি এখন বর্তমানে লোকাল আর্মস ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বেজের ডানহাত হিসাবে কাজি কাজ করতেন এটা স্বীকারের পর তিনি এই মামলার অন্যতম সাক্ষীর ভূমিকায় কাজ করবেন এবং এনআইএর তদন্তে সহায়তা করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা
এসপি বিক্রম খালাটের নেতৃত্বে এনআইয়েরর দল বালি বাজারের কাছে মিঠি নদীর ওপর ব্রিজ ও বান্দ্রা কুর্লা কমপ্লেক্সে দুপুর ৩টের সময় যান। স্থানীয় ডুবুরিরা এয়ার টিউব ও দড়ির সহায়তায় তিনঘণ্টা ধরে খুঁজে ওই জিনিসগুলি উদ্ধার করেন। এনআইএর কাছে নির্দিষ্ট জায়গার খবর ছিল যেখানে অভিযুক্তরা এই জিনিসগুলি লোপাটের চেষ্টা করছিল। এনআইএ জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া জিনিসগুলি ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স জিনিসগুলি থেকে তথ্য উদ্ধারের পরই তা বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে যে এগুলি অপরাধের সময় কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
আম্বানি বোমাতঙ্ক
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি উদ্ধার হয়। ওই গাড়ির মালিক থানের ব্যবসায়ী মনসুখ হিরেন। ৫ মার্চ মনসুখের দেহ রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হয় মুম্বইয়ের খাঁড়ি থেকে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে হিরেনের ওই গাড়িটি চুরি হয়ে যায় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
সচিন বেজের ভূমিকা
এই ঘটনায় প্রথমে তদন্তকারী অফিসার ছিলেন সচিন বেজ। কিন্তু হিরেনের স্ত্রী অভিযোগ করেন যে তাঁর স্বামীর খুনের পেছনে হাত রয়েছে বেজের। এমনকী সচিন বেজ হিরেনের গাড়িটি গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহার করেছিল বলেও অভিযোগ করেন হিরেনের স্ত্রী। ১৩ মার্চ সচিন বেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তারপরই সে গ্রেফতার হয় এবং পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। এনআইএ এখন এই মামলার তদন্ত করছে।