কলকাতা : ভোট হয়ে যাবার পর আর দেখা মেলেনা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের, এমন অভিযোগ এবং কথা সাধারণ মানুষ এবং জনগণ প্রায়ই বলে থাকেন। তবে এবারের ভোট একটু অন্যরকম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তারকার রমরমা। তার সাথে দলবদল এর গল্প তো আছেই। মানুষের জন্য কাজ করতে চাই তাই রাজনীতিতে আসা এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন দলে যোগ দিচ্ছেন বহু তারকা। কেউ আবার ‘কাজ করতে পারছিলাম না’, ‘দম বন্ধ হয়ে আসছে’ এই মন্তব্য গুলি করে অন্য শিবিরে যোগদান করছেন। তাই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া এবং সবুজ দুই শিবিরে বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্বদের ভিড়।

আর এবারে সেই ভিড়েই কি নাম লেখালেন আরজে ও অভিনেতা মীর আফসার আলী? সাদা পাঞ্জাবি সঙ্গে জওহর কোটে সেজে জনগণের মধ্যে হাজির মীর। গলায় আবার ঝোলানো গাঁদা ফুলের মালা। কিছু বলার জন্যে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। শনিবার সকাল থেকেই মীরের পোস্ট করা এই ছবি নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর চর্চা। মীরও কি এবার রাজনীতির ময়দানে?

তবে বেশিক্ষণ মানুষজনকে দন্দে না রেখে আসল সত্যিই প্রকাশ করলেন মীর ও মীরের এই সাজের জন্য দায়ী গোটা টিম।

শুক্রবার রাতে মীর পোস্ট করেছিলেন,”আজ থেকে ভোট শুরু… আর আজকেই মাঠে নামছে T.U.M.P.A. ! Confused??? Don’t be. রহস্য ফাঁস আজ রাতে… Mir Afsar Ali আর CONFUSED Picture. ~ একসাথে!” সঙ্গে নতুন ভিডিও আসতে পারে এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মীর।

শনিবার মধ্যরাতেই ভোট প্রচারে দেখা গেল মীর আফসার আলি-কে। তাঁর গলায় শোনা গেল, ”আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যদি ভোটে জিতি, ৫ বছর পর আবার ফিরে আসবো, আপনাদের থেকে ভোট চাইতে।”

এমন অদ্ভুত স্লোগান এর আগে হয়তো শোনেননি। আত্ম অকপটে একটা সত্যি কথা বলা যাক প্রাণ সই নেতা-নেত্রীদের কার্যক্রমে ধরা পড়ে, তা কীভাবে এত অনায়াসে বলে ফেলা যায়। আসলে ভাইরাল ‘টুম্পা’ নির্মাতা আরব, অরিজিৎ, ইন্দ্রনীলরা ভোটের মুখেই নতুন গান বেঁধেছেন। যার নাম ‘কলির হোলি’। ভোট নিয়ে কৌতুক করে তৈরি এই মিউজিক ভিডিয়োতেই নেতার চরিত্রে দেখা গিয়েছে মীর-কে। আর সেই ভিডিয়ো নিয়েই শনিবার মজার পোস্ট করেছিলেন মীর।

টুম্পার পরে ‘কলির হোলি’ও যে দর্শকের মনে রং লাগাবে তার বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোট নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক এই গানের সুর করেছেন এবং গেয়েছেন আরব দে। মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট ও মিক্সিংয়ে রয়েছেন ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। মিউজিক ভিডিয়োটির পরিচালনা ও সম্পাদনায় ছিলেন অরিজিৎ সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।