প্রতীতি ঘোষ, বসিরহাট : শুরু হয়ে গিয়েছে একুশের নির্বাচন। প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শেষ। এখনও সাতদফার নির্বাচন বাকি। আর এই নির্বাচনের মধ্যে ফের তৃণমূল ও আই.এস.এফ-এর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার বকজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরা গ্রাম।

অভিযোগ, আইএসএফ করার ‘অপরাধ’এ মথুরা গ্রামে তৃণমূল ও আই এস এফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, আই এস এফ করার ‘অপরাধ’ রবিবার গভীর রাতে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী হাতে লোহার রড, হাসুয়া, দা, এবং বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় হাড়োয়ার বকজুরি গ্রামে আব্বাস সিদ্দিকী অনুগামীদের উপর। তাঁদের বাড়িতে থাকা প্রতিবন্ধী বাচ্চা এবং মহিলাদেরকেও রেয়াত করা হয়নি বলে অভিযোগ।

আব্বাস অনুগামীদের বেধড়ক মারধর করতে থাকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীরা আই এস এফ কর্মীদের ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

তবে এই ঘটনার প্রতিরোধে আই এস এফ কর্মীদের উপর হামলার পাল্টা তৃণমূলের ওপর হামলা চালায় সংযুক্ত মোর্চার লোকজন। ঘটনাস্থলে তাদের মারের আঘাতে গুরুতর আহত হয় উভয় পক্ষের ১৪ জন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, আই এস এফ কর্মীদের মারের আঘাতে তৃণমূলের চারজন আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় দুপক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হাড়োয়া থানায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে, পাশাপাশি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। শুধুই কি রাজনৈতিক কারণ, নাকি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

এদিকে হামলার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব । তাদের বক্তব্য, তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এভাবেই নিজেদের মধ্যে পরিবারিক ঝামেলা লাগিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।