|
'নটীদের এখনও বোধ হয়নি যে রাজনীতিটা অভিসার নয়'
রবিবার গঙ্গাবঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রের সঙ্গে দোল উৎসবে মেতেছিলেন বিজেপির তিন তারকা প্রার্থী। এরপর সোমবার তথাগত রায় টুইট করেন। টুইটারে তিনি লেখেন- ‘নগরীর নটী চলে অভিসারে যৌবন মদে মত্তা'। এই নটীদের এখনও বোধ হয়নি যে রাজনীতিটা অভিসার নয়।
‘সত্যি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ওই ছবি দেখার পর'
ভোটের ময়দানে যখন বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াই চলছে তখন তিন তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। নিজের দলের তিন তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তিনি লিখেছেন- ‘সত্যি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি বাকরুদ্ধ ওই ছবি দেখার পর। স্লো ক্ল্যাপস।'
'দলীয়কর্মীদের মনোবল ভাঙার অধিকার কে দিয়েছে ওঁদের'
রূপাঞ্জনা প্রশ্ন তুলেছেন, দলীয়কর্মীদের মনোবল ভাঙার অধিকার কে দিয়েছে ওঁদের। আমি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি আরও বলেন, মদনদার লাভলি এবং খেলা হবে গানে আমাদের প্রার্থীরা সৌজন্য দেখিয়ে কোমর দোলাচ্ছেন। অথচ রং দে তু মোহে গেরুয়া গানে চুপ করে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র বা দেবাংশু ভট্টাচার্যরা।
রাজনীতি ভুলে দোলের রঙে মিলেছিলেন তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থীরা
উল্লেখ্য, রাজনীতির দলাদলি ভুলে রবিবার দোলের রঙে মিলে গিয়েছিলেন তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থীরা। বাংলায় ভোটের মরশুমে দোলের সকালে হোলির আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিলেন তৃণমূলের মদন মিত্র, দেবাংশু থেকে শুরু করে বিজেপির শ্রাবন্তী, পায়েল, তনুশ্রীরা। গঙ্গাবঙ্গে হোলি উৎসব পালনের পর মদন মিত্র বলেছিলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের সংস্কৃতিটা বাংলারই। বাংলার সংস্কৃতিতেই আছে খেলব হোলি রং দেব না, তাই কখনও হয়। সেই সংস্কৃতির বাংলাই আমাদেরকে মিলিয়ে দিয়েছে।
আজ কোনও রাজনীতি নয়, কিন্তু রাজনীতি ছেড়ে যায় কোথা
দোল উৎসবের আবহে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র, বিজেপির তিন প্রার্থী শ্রাবন্তী, পায়েল ও তনুশ্রীদের মুখে শোনা গিয়েছিল এক ধ্বনি- আজ কোনও রাজনীতি নয়। আজকের দিনটা বড্ড স্পেশাল। সব রাজনীতি, বিবাদ-বিসংবাদ ভুলে এক হয়ে ওঠার দিন। তাই শুধু আনন্দ আর উন্মাদনাই থাক আজকের দিনের জন্য, কোনও রাজনীতি নয়!