হায়দরাবাদ: কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের পর আরও একটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাশিয়ার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি–কে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেবে বলে মনে করছে ফার্মাসিউটিক্যাল ডাঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরি।

ডাঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরি সিইও দীপক সাপ্রে বলেছেন, ‘আমরা ভারত ও তার দেশবাসীর ওপর সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর ট্রায়াল করেছি। এই তথ্য এখন ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে রয়েছে। আশা করছি পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে।’

তিনি আরো বলেন, স্পুটনিক ভি দু’‌টি ডোজের ভ্যাকসিন। প্রথমদিন প্রথম ডোজ এবং এর ২১ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে ২৮ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে। অতএব এটা দু’‌টি ডোজের ভ্যাকসিন এবং আমরা আশা করছি এটা পরবর্তী কিছু সপ্তাহের মধ্যে উপলব্ধ হবে।

ডাঃ রেড্ডি রাশিয়া ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (‌আরডিআইএফ)‌–এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত সহ অন্যান্য দেশে স্পুটনিক ভিকে নিয়ে এসেছে। রাশিয়া, ভারত ও আমেরিকাতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। ল্যানসেট জার্নাল অনুসারে রাশিয়ার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন ৯১.‌৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ট্রায়ালের তথ্য বর্তমানে ভারতীয় নিয়ামক সংস্থার কাছে রয়েছে এবং ফার্মটি আশা করছে যে আগামী কিছু সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পেয়ে যাবে।

স্পুটনিক ভি করোনা ভাইরাসের ওপর ভালো কাজ করছে বলেই গবেষকরা জানিয়েছেন। স্পুটনিক ভি অনুমোদন পেলে ভারতে তৃতীয় নম্বর ভ্যাকসিন হিসাবে নাম উঠে আসবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি–এর।

এর মধ্যেই আরও একটি করোনার টিকা বাজারে আনার কথা জানিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। আগামী সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে চলেছে সেই ভ্যাকসিনটি। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে কোভোভ্যাক্স (Covovax) নামে ওই করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও। শনিবার টুইট করে জনিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা।

দীর্ঘদিন করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, বর্তমানে ফের সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। সবমিলিয়ে দেশের মোট ৪৬টি জেলা কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রয়েছে এ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর ২৪ পরগণা এবং কলকাতাও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।