নিরপেক্ষ নয় নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি কোনও প্রশ্ন না তুলতে চাইলেও, প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে ছিল, সেগুলিতে প্রথম চার থেকে পাঁচ দফার মধ্যে রাখা হয়েছে। আর যেসব জায়গায় তৃণমূলের প্রভাব, সেগুলিকে রাখা হয়েছে ষষ্ঠ, সপ্তম আর অষ্টম দফায়। এবারই প্রথম যেখানে কোনও জেলাকে তিন, চার কিংবা পাঁচ দফায় ভাগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, নদিয়া জেলার উত্তরে তৃণমূলের প্রভাব বেশি আর দক্ষিণে বিজেপি। দক্ষিণে আগে ভোট হচ্ছে উত্তরে পরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১ টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে কেন আগে নির্বাচন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ডিসেম্বরে ২০০ আসন জেতার পরিস্থিতিতে ছিল না বিজেপি
গত ডিসেম্বরে প্রশান্ত কিশোর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি ডাবল ডিজিট পেরোতে পারবে না। যা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, সেই সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, যাতে বলা হচ্ছিল বিজেপি রাজ্যে সুইপ করবে, ২০০র বেশি আসন পাবে। সেই সময় যে পরিস্থিতি তা ছিল না, তা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বর্তমানেই সেই মন্তব্যেই অটল রয়েছেন তিনি।
শুভেন্দু বড় নেতা
প্রশ্নের উত্তরে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তিনি কাজ করতে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গে। কাজটা হল তৃণমূলকে জেতানো। কোনও বন্ধু তৈরি করতে তিনি আসেননি। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমতাশালী তৃণমূল নেতা ছিলেন বলে মেনে নিয়েছেন তিনি। এব্যাপারে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকেও তুলে ধরেছেন। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূল নতুন করে গঠন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ মনে করে থাকেন, তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তাই প্রশান্ত কিশোরকে দায়ী কর। তাতে তিনি কিছু মনে করেন না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূলের ভোট কুশলী। তবে শুভেন্দু অধিকারী কোনও ফ্যাক্টর নন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
তৃণমূল এখন কোম্পানি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী-সহ যাঁরাই তৃণমূল ছেড়েছেন, তাঁরাই তৃণমূলকে দল নয়, কোম্পানি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেখানে কাজের পরিবেশ নেই বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। এর পিছনে প্রশান্ত কিশোরের কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করেছিলেন তাঁরা।