কায়রো: অবশেষে খুলল সুয়েজ খাল। একটি পণ্যবাহী জাহাজ গত মঙ্গলবার থেকে এই খালে আটকে ছিল। সোমবার সেটি ফের চালু হল। আর তার সঙ্গেই খুলে গেল সুয়েজ খাল। ফের উন্মুক্ত হল দুই মহাদেশের বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র।
এশিয়া ও আফ্রিকার মাঝের এই সুয়েজ খাল দুই মহাদেশের বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। এভার গিভেন নামে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ওই খালে আটকে যাওয়ায় খাল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রায় এক সপ্তাহের জন্য়। জাহাজটির দৈর্ঘ্য় প্রায় ৪০০ মিটার। সুয়েজ খালের তলদেশে আটকে যায় জাহাজটি। ফলে দুদিক থেকেই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে সোমবার পথ পরিষ্কার হল। তবে জাহাজটি আবারও ভাসমান অবস্থায় এলেও জলপথ যে যাতায়াতের জন্য খুলে যাবে এমন নয়। জলপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুয়েজ খালে প্রায় ৪৫০ টি জাহাজ আটকে রয়েছে। সবগুলি কবে তাদের গন্তব্য পৌঁছবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এমনিতেই মহামারীর কারণে বহুদিন বন্ধ ছিল ব্যবসা বাণিজ্য। এখন তা চালু হয়েছে। এই সময় এমন একটি সমস্যায় ফের বড়সড় ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এই খালটি দিয়ে গোটা বিশ্বের বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ হয়ে থাকে। তাই সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আফ্রিকার দক্ষিণ অঞ্চলের দিকে দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল জলপথ বাণিজ্যের জন্য বেছে নিয়েছে। সোমবার ১০টি ট্যাগবোটের সাহায্যে এভার গিভেনকে বাঁধনমুক্ত করা হয়। ড্রেজারের সাহায্যে একে ফের জলে ভাসানো হয়। এর জন্য প্রায় ২৭ হাজার কিউবিক মিটার ও ১৮ মিটার বালি খুঁড়তে হয়। মিশরের তরফে এও বলা হয়েছিল যদি মঙ্গলবারের মধ্যে জাহাজ কোনওভাবেই সরানো না যায় তবে পণ্য খালাস করতে শুরু করা হবে। তবে তার প্রয়োজন পড়েনি। জাহাজের সামনের অংশ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে এর জন্য তেমন কোনও ক্ষতি হয়তো হবে না। নিরাপদেই জাহাজটি গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.