নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে ভারত। বিশ্বের বহু দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত জানুয়ারি মাসে প্রতিবেশী দেশ নেপালকে ১ মিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত। এবার ভারতীয় সেনাবাহিনী নেপালের সেনাবাহিনীকে আরও ১ লক্ষ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দিয়েছে।

রবিবার নেপালের সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তাদের হাতে উপহারস্বরূপ করোনার ভ্যাকসিন তুলে দিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তারা। রবিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ভারত থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হয় নেপালে। নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ১ লক্ষ ডোজের করোনা ভ্যাকসিন নেপাল সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন ইন্ডিয়ান আর্মির অফিসাররা।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-র খবর অনুযায়ী, কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনা ভারতে তৈরি এক লক্ষ ডোজের করোনা ভ্যাকসিন নেপালের সেনাবাহিনীকে উপহার দিয়েছে। নেপাল সেনাবাহিনীর সুরক্ষার স্বার্থেই ভারত ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসেও নেপালকে করোনার ভ্যাকসিন পাঠিয়েছিলন ভারত। ১ মিলিয়ন ডোজ করোনার ভ্যাকসিন নেপালকে পাঠায় ভারত সরকার। ভ্যাকসিন ছাড়া করোনা মোকাবিলায় টেস্টিং কিট, ওষুধ দিয়েও নেপালের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। নেপালে এখনও পর্যন্ত ২৭৬,৮৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই নেপালের ৩ হাজার ২৭ জনের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।

শুধু নেপালই নয়। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোটা বিশ্বকে দিশা দেখিয়েছে ভারত। একাধিক দেশ করোনার ভ্যাকসিন বানালেও, ভারত এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে শুরু থেকে। তাড়াহুড়ো না করে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে পারদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় গবেষকরা। গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনার টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়।

এরপর ধাপে ধাপে চলছে টিকাকরণ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত ভারতে দুটি করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড, যেটি তৈরি হচ্ছে পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে। এছাড়াও আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগও চলছে দেশজুড়ে। তবে শীঘ্রই দেশে তৈরি আরও বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনকেও ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশে করোনার সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ কর্মসূচিতে আরও বেশি জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।