কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে সত্যিই যেন ভোটরঙ্গ চলছে। বিরোধীকে আক্রমণ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটি বক্তব্য নিয়ে আজ রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের ঘটনায় পুলিশ ঢোকানোর দায় কার্যত অধিকারী পরিবারের উপর চাপান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর মুখ খুললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বামনেতা বুদ্ধদেববাবু যে বিবৃতি দিয়েছেন সেখানে তিনি বলেছেন, “বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকেই যে অর্থনৈতিক – রাজনৈতিক ভাবনা আমরা রাজ্যের মানুষকে বলার চেষ্টা করছি তা হল কৃষি আমাদের ভিত্তি- শিল্প আমাদের ভবিষ্যত। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান সরকারের হাতে গত দশ বছরে সেই কৃষিতে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। উল্লেখযোগ্য কোনও শিল্প আসেনি গত এক দশকে। নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুরে এখন শ্মশানের নীরবতা।” এরপরই তাঁর কথায় উঠে আসে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে রাজ্যে কোও কর্মসংস্থান নেই। বাংলার ছেলেমেয়েরা ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে। বাংলা এখন সবদিক দিয়েই পিছিয়ে পড়েছে। আর সেদিনের চক্রন্তকারীরা এখন নিজেরই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছে।
রাজ্যে যে মহিলাদের নিরাপত্তা এখন নেই, দুর্নীতিতে রাজ্য ভরে গিয়েছে এ কথাও উঠে এসেছে তাঁর বিবৃতিতে। তিনি বলেছেন, “সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতির যে পরিবেশ পশ্চিমবঙ্গের গর্ব ছিল তাকে বিষাক্ত করে তোলা হয়েছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের স্বৈরতান্ত্রিক দাপাদাপি অন্যদিকে বিজেপির বৃহৎ পুঁজির স্বার্থে সর্বনাশা আর্থিক নীতি, বিভেদের রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ- যার পিছনে রয়েছে আরএসএসের ভয়ঙ্কর মতাদর্শ। এরই পরিণতি রাজ্যে আজকের এই ধ্বংসচিত্র।” নিজের বিবৃতিতে রাজ্যের মানুষকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এর জন্য যুব সমাজের প্রতি আস্থা রেখেছেন তিনি। বলেছেন, “নতুন প্রজন্মের হাজার হাজার যুবক যুবতী ছোট-মাঝারি-বৃহৎ শিল্প ও কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে। ওরাই পারবে এই বিপদকে রুখে দিতে। বর্তমান পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে নতুন সরকার তৈরি করে ওরা পারবে বাংলার হৃত গৌরবকে ফিরিয়ে আনতে।” এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.