কলকাতা: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। দোলযাত্রা কাটতে না কাটতেই এবার আসছে অক্ষয় তৃতীয়া। গ্রীষ্মকালের প্রথম পুজো ও অনুষ্ঠান এটি। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি হিসেবে পরিচিত।
অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা কখনোই ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। তাই বৈদিক বিশ্বাস অনুযায়ী এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য করা গেলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। ভালো কাজ করা হলে তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করে ফেলি আমরা তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পাপ। তাই এদিন খুব সাবধানে ও সংযতভাবে প্রতিটি কাজ করা উচিত আমাদের। এদিন পুজো, জপ, ঈশ্বরের ধ্যান, দান এসবের কার্যের মাধ্যমেই অপরের মনে আনন্দ দেওয়ার মত কাজ করা উচিত। এই দিন অনেকেই ব্যবসায় লাভের আশায় লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করেন ও নতুন খাতা তৈরি হয় যাকে বলা হয় “হালখাতা”।
২০২০ সালে অক্ষয় তৃতীয়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৬ শে এপ্রিল, রবিবার। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে দিনটি পড়েছিল ১৩ বৈশাখ ১৪২৭- এ। এই বছর অর্থাৎ ২০২১- এ অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হবে ১৪ ই মে, শুক্রবার। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ৩০ শে বৈশাখ ১৪২৮- এ পালিত হবে এই শুভ তিথি।
অক্ষয় তৃতীয়া পালন করতে গেলে যা যা লাগবে তা হলো- সিদুঁর, চিনি, ঘি, পঞ্চগুঁড়ি, পঞ্চগর্ব্য, প্রদীপ, তিল, হরিতকী, দুর্ব্বা, তুলসি, বিল্বপত্র, ধূপ, ধূনা, মধুপর্ক বাটি ২, আসনাঙ্গুরীয় ২, দই, মধু, পুজোর জন্য কাপড় ১, শাটী ১, নৈবেদ্য ২,কুচো নৈবেদ্য ১, ফুল, সভোজ্য জলপূর্ণ ঘট ১, বস্ত্র ১, পাখা ১, দক্ষিণা।
এবার জেনে নেওয়া যাক এই পুজোর তাৎপর্যগুলি কী?
১. এই শুভ দিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ করা শুরু হয়।
২. এদিনই নাকি গণপতি গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত বাণী শুনে শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেছিলেন।
৩. এদিনই মহাভারত অনুসারে দুঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করতে যান এবং বোন “কৃষ্ণা” অর্থাৎ দ্রৌপদীর শ্রী রক্ষা করেন শ্রীকৃষ্ণ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.