লাদাখ : মঙ্গলবার মধ্যরাতে কেঁপে উঠল লাদাখ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.১। ঘড়িতে তখন রাত ১.০৬ মিনিট। আচমকাই দুলে ওঠে পায়ের তলার মাটি। কম্পন অনুভূত হয় লেহতেও।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি বা এনসিএস জানাচ্ছে রাত একটা পাঁচ নাগাদ কম্পন হয়। তবে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। যদিও বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। উল্লেখ্য মার্চের ছয় তারিখে কেঁপে উঠেছিল লাদাখ। কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ৩.৬।

কিছুদিন আগেই জানা যায়, উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের জেরে বড় ভূমিকম্পের মুখে পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম,অসম,ভুটান,মায়ানমার, বাংলাদেশে। ভূবিজ্ঞানী সুজিব কর এই ভূমিকম্পের সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, এই ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশিই থাকবে এবং এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি দিল্লির ভূমিকম্প হওয়ার অন্যতম কারণ উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও তার ফলে হিমালয়ের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া।

ভূবিজ্ঞানী সুজিব কর জানিয়েছেন, “ভারত অবস্থান করছে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের ওপর। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এই প্লেটের চ্যুতি ঘটেছে। তবে উত্তরাখণ্ডের এই বিপর্যয় হওয়ারই ছিল। ওখানে জলাধার তৈরির জন্য প্রতিনিয়ত ডিনামাইট চার্জ করা হয়েছে। তার ফলে ওখানকার “নিস্” এবং “সিষ্ট” নামের শিলায় ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই শিলাগুলি বেশিমাত্রায় আবহবিকার প্রাপ্ত হয়। এই আবহবিকার দীর্ঘদিন ধরে চলছে। মধ্য হিমালয়ের যেখানেই যত শিলা আছে তারা স্বাভাবিকভাবেই একটু দুর্বল। তার ওপর ধারাবাহিকভাবে ডিনামাইট চার্জ করার ফলে উদ্ভুত কম্পন এই শিলাগুলি সহ্য করতে পারেনি।

এদিকে, ১২ই ফেব্রুয়ারি দিল্লি, উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা ও জম্মু কাশ্মীরে কম্পন বোঝা যায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। সেভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। উত্তরাখণ্ড, জম্মু কাশ্মীর, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের বেশ কিছু এলাকায় কম্পন প্রভাব ফেলে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় ১০.৩৪ নাগাদ প্রথম কম্পন বোঝা যায়। এই কম্পনের উৎসস্থল তাজাকিস্তান। তাজাকিস্তান-জিনজিয়াং সীমান্তে মাটি থেকে ৯১ কিমি গভীরে কম্পন হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।