স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম জোট শরিক আইএসএফে ভাঙন ধরাল তৃণমূল৷ সোমবার আইএসএফ (ISF) থেকে একঝাঁক প্রথম সারির নেতা দল ছেড়ে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC)। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুই ২৪ পরগনার পর্যবেক্ষক হাজি মহম্মদকে তৃণমূলে শামিল করালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এ ছাড়াও বন্দর এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেসের নেতা ডক্টর শাকিল আহমেদ এবং কয়েকশো আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
একুশের বিধানসভা ভোটে একযোগে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই আইএসএফ-এ ভাঙন ধরাল তৃণমূল৷ সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন কওসর আলি মল্লিক ওরফে হাজি মহম্মদ, আবদুল মেনন, আবদুল মাহবুদ। আবদুল মেনন এবং আবদুল মাহবুদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এঁদের বক্তব্য, একদা বামেদের বিরুদ্ধেই মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন আব্বাসরা, এখন মমতার বিরুদ্ধে গিয়ে ফের বামেদেরই হাত ধরেছেন তিনি৷ তা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়৷ ফিরহাদ বলেন, “যে সিপিএমের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়েছিলেন সেই দলে এখন আব্বাস সিদ্দিক কমরেড হয়ে গিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে এই ব্যক্তিত্বদের তৃণমূলে যোগদান।”
উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় তৃণমূল ও আই এস এফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় দুপক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হাড়োয়া থানায়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে, পাশাপাশি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
এদিন নিমতাকাণ্ড নিয়েও বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করেছেন ফিরহাদ। নিমতায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে যে বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল, তাঁর আজ মৃত্যু হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ এ দিন বলেন, “যিনি মারা গেছেন তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। মিথ্যা প্রচার করে রাজ্যের মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি আশা করি ন্যায় বিচার হবে।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.