কলকাতা: জন্মিলে মরিতে হবে এটা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু তাও এমন কোনো মানুষ নেই যে মৃত্যুকে ভয় পায় না বা তা নিয়ে ভাবতে চায় না সেটাকে কোনো স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ভেবে নিয়ে। কিন্তু কার মৃত্যু কখন আসবে সেটা আমরা কেউই টের পাই না। তবে সেই মৃত্যুর দিন, কারণ সবই লেখা রয়েছে ভাগ্যে। আমরা না জানতে পারলেও এমন কিছু প্রাণীর অস্তিত্ব নাকি রয়েছে যারা মৃত্যুর আগমনের বার্তা দিতে পারে আগেভাগেই।
তাদেরকে চিনে রাখলে তাদের ইশারা বুঝতেও সমস্যা হবে না আপনাদের। তবে তাদেরকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আর যাই হোক এই প্রাণীগুলি কখনোই আপনার মৃত্যুর কারণ হবে না। শুধু আপনার মৃত্যু কবে আসবে তা ইশারায় জানিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। প্যারানর্মালবাদী এই মতামত দিয়েছে। জেনে নিন তাদের সম্পর্কে।
১. আপনার বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় কোনো পেঁচার বিশেষ ডাকের সুরে কোনো গান শুনলে বুঝে নেবেন যে চেনাশোনা কারোর মৃত্যু আসন্ন। প্যাঁচাকে নিয়ে এমন একটি প্রাচীন প্রবাদ আছে অনেকদিন থেকেই।
আরো পোস্ট- খাদের ধার ধরে ঝুলছে পাঁচ তলা বাড়ি!
তাছাড়া ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন অর্থাৎ তারা খারাপ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। আবার ইউরোপে তার উড়ানকে মৃত্যুর পূর্বাভাস বলে ধরে নেওয়ার রীতি রয়েছে।
২. ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের একটি চিকিৎসা সম্পর্কিত জার্নালে প্রকাশিত হয় যে রোজ আইল্যান্ডে অস্কার নামে একটি বিড়াল কারোর মৃত্যুর সময়ে আশ্চর্য আচরণ করে থাকে। একটি হাসপাতালে তাকে নিয়ে গিয়ে রাখা হয় পরীক্ষার জন্যে। সেখানে কোনো রোগীর মৃত্যু আসন্ন হলে সে সেই মৃত্যুপথযাত্রীর বিছানার পাশে গিয়ে বসে থাকতো।
এভাবে অস্কার ২৫ টি মৃত্যুপথযাত্রীর মৃত্যুর খবর আগাম জানিয়ে দিতে পেরেছে এই যাবৎ। কেবল রোড আইল্যান্ডের অস্কার নয়, বিড়াল মাত্রেই মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয় এটাও নাকি প্রচলিত রয়েছে সমাজে। তারা নাকি মৃত্যুর গন্ধ পায় কোনোভাবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.