ওয়েলিংটন: আমাদের বিশ্বে কত রকমের জাতি ও গোষ্ঠী রয়েছে তা গুনে শেষ করা যাবে না। তার মধ্যে প্রতিটির ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি, সামাজিক আচার, ধার্মিক রীতি সবই আলাদা। আধুনিক সভ্যতার সর্বগ্রাসী উত্তাপের মাঝেও পৃথিবীর নানা প্রান্তে অনেক আদিম জনগোষ্ঠী ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেঁচে রয়েছে। অনেকেই আবার সভ্য সমাজের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে রয়েছে। আবার কেউ কেউ নিজেদের রীতি মেনে চলতেই তৎপর। মাওরি বা মাউরি এমনই এক প্রসিদ্ধ গোষ্ঠী।

এই জনগোষ্ঠী দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছে এখন। পলিনেশিয়া থেকে আগত ১২ টা গোত্র বা গোষ্ঠী পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে মাওরি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিল। এদের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত হলেও এরা এখনো মেনে চলে এমন কিছু নিয়ম যা অবাক করবে আমাদের।

নিজেদের শরীরে উল্কি করা এই গোষ্ঠীর মানুষেরা এক বিষেশ রীতি মানে। বিশিষ্ট মাওরি ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর মাথা সংরক্ষণ করে রাখতো এই আদিম জনগোষ্ঠী। দলপতি, পুরোহিত বা অন্য কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে শেষকৃত্যের সময় তাদের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে রাখতো এরা। এরপর মাথার যাবতীয় পচনশীল অংশ অর্থাৎ চোখ, মস্তিষ্ক ইত্যাদি বের করে নিয়ে সেই মাথাটাকে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রোদের মধ্যে শুকিয়ে নিতে হতো। যাতে চামড়া নষ্ট না হয়ে যায় সেই উদ্দেশ্যে হাঙরের পাকস্থলী থেকে তৈরি এক রকমের তেল এই মাথা গুলিতে মাখিয়ে রাখা হতো।

এই কারণে বছরের পর বছর মাথার খুলিগুলি অবিকৃত অবস্থায় থাকতো। সংরক্ষিত মাথাগুলোকে নকশা করা সুদৃশ্য কাঠের বাক্সে মৃতের পরিবারকেও দেওয়া হতো। কোনো এক পবিত্র অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত মাথা আনা হতো। আবার মাউরিদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লাগলে রাগের বশে মাউরিরা পরাজিত জাতির প্রধান বা রাজার মাথা কেটে সংরক্ষণ করতো ও দলপতিকে উপহার দিত। সন্ধি স্থাপনের উদ্দেশ্যে দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে সংরক্ষিত মাথা আদান-প্রদানের রীতি ছিল। উল্কি করা হতো সেই মাথায়। “মোকোমোকাই” নামক এই মাথাগুলি এখন মিউজিয়ামে রয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।