কলকাতা : টলিপাড়াতে আজই রং মলাটের দিন। ছোট্ট ছোট্ট লাল হলুদ গোলাপির টীকা নয়। রঙের ছটায় কীভাবে সম্পূর্ণ রঙিন হতে হয় তা দেখা গেলো আজ। তবে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল বলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে বন্ধু-বান্ধব বা প্রতিবেশীদের সঙ্গে হুল্লোড় নয়। বরং এ বছরের ছবিতে ধরা পরল ঘরেতেই নিজের কাছের মানুষদের সঙ্গে চুটিয়ে হোলির সেলিব্রেসন।
চোখে কালো সানগ্লাস গোলাপি হট প্যান্ট আর সাদা টি-শার্ট এ বালাম পিচকারি গানের সঙ্গে দুর্দান্ত নেচে নেট নাগরিকদের মন জয় করলেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় কালো হেয়ার ব্যান পড়ে ওম দোল সেলিব্রেট করলেন তাঁর ঘরণী মিমির সঙ্গে নিজের বাড়িতে। এদিন মিমির পরনে ছিল সাদার ওপর রংয়ের কাজ করা সালোয়ার।
স্লিভলেস লাল ঠোঁট এবং তার ওপরে সাদা শার্ট পড়ে,’ ডু মি আ ফেভার, লেটস প্লে হোলি’ গানের সাথে সম্পূর্ণ ফুর্তির মেজাজে দেখা গেল উষসী রায়কে।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত দোলের ফুড আইটেম হিসেবে বেছে নিল, কোয়ালিটি ওয়ালস ওরিও আইসক্রিমকে। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামের শেয়ার করার পর তার প্রেমিক গায়ক শোভন গাঙ্গুলি নিচে কমেন্ট করে জানতে চাইলেন, ‘পুরোটা তো?’
এবার আসা যাক বড় পর্দার কথায়:
মালদ্বীপে সাগর কিনারে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা নীল জলের কাছেই করলেন একান্তে হোলির সেলিব্রেসন। অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ এই গানটি নিজের গলায় ভাষ্যপাঠ করে ফুলের রঙে রঙিন করলেন তাঁর ভক্তকুলকে।
অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুর বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত তিনি। এই কদিন তাই নিজের ঘরণী শুভশ্রী গাঙ্গুলী এবং পুত্র যুবান কেও সময় দিতে পারেননি তিনি। তাই দোলের দিন সকাল সকাল ব্যারাকপুরে বসন্ত উৎসব পালন করে তিনি পৌছলেন তাঁর পরিবারের কাছে। এতদিন পরে তাকে কাছে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত শুভশ্রী গাঙ্গুলী। শুভশ্রীর পরনে ছিল সাদা সালোয়ার কামিজ সাদা দোপাট্টা। আর রাজের পরনে ছিল ব্লু জিন্স আর শার্ট।
সামনেই মুক্তি পেতে চলেছে কোয়েল মল্লিক অভিনীত ফ্লাইওভার। কোয়েল সাধারণত মাঝে মধ্যেই তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে লাইভে এসে ইন্টারেকশন করে থাকেন। তবে দোল উপলক্ষে কোয়েল শেয়ার করলেন এমন এক ভিডিও যা দেখে জানা গেল তাঁর ছোটবেলার ভয়ের কথা। এরই সাথে কিভাবে বাবা রঞ্জিত মল্লিক তার সাথে মজার বিশ্বাসঘাতকতা করত তাও উঠে এলো এই ভিডিওতে। ছোটবেলায় মল্লিক বাড়িতে বিরাট করে দোলের খেলা হতো। আর মল্লিকবাড়ি জমজমাট থাকে ভাই বোন এবং একান্নবর্তী পরিবারের মজায়।
কোয়েলের ছোটবেলায় নাকি কোয়েল বেশ ভীতু ছিল। আর তখন মল্লিক বাড়িতে নানা ধরনের রং আসত। যেমন বাদুরে রং, সোনালী রং, রুপালি রং। যা দেখে কোয়েল খুব ভয় পেয়ে নিজের বাবাকে বলতেন তাঁকে এমন কোথাও লুকিয়ে রাখার কথা যেখানে তাকে কেউ দেখতে পাবে না। বাবা ও যথেষ্ট আশ্বাস দিয়ে ছোট্ট মেয়েকে মল্লিকবাড়ির কোন একটি ঘরে লুকিয়ে দিতেন। অথচ তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কোয়েলের যত ভাইবোনেরা দলবল মিলে সে ঘরে এসে কোয়েলকে রং মাখিয়ে দিতো। আর এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে কোয়েলের প্রশ্ন জাগতো কিভাবে বাবা এই ঘরটায় আশ্বাস দিয়ে তাঁর রেখে দেওয়ার পরেও ভাই-বোনেরা সবাই জানতে পেরে যেত। পরে জানা যেত বাবা রঞ্জিত মল্লিক নিজেই অন্যান্য ভাই-বোনেদের বলে দিতেন কোয়েল কোন ঘরে লুকিয়ে আছে।
বাবার এই মজার বিশ্বাসঘাতকতার কথা শেয়ার করে কোয়েল বলেছেন, বাবারা ভালোই হয় তাই তাদের আশীর্বাদ সব সময় কাম্য। আর যদি সেই মুহূর্তে কোয়েল এইগুলো না এক্সপেরিয়েন্স করতো তাহলে সে অনেক কিছুই মিস করে যেত।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.