কলকাতা: ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করল এনআইএ। শনিবার জঙ্গলমহলে প্রথম দফার ভোট মিটতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। শনিবার দীর্ঘ ১১ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। শনিবার ঝাড়গ্রামের লালগড় থানার আমলিয়া গ্রামে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। এরপর রবিবার ভোরেই তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন এনআইএ-র অফিসাররা।

২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের আঙুল ওঠে ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। ১৬, ১৮ এবং ২২ মার্চ তাঁকে NIA-এর পক্ষ থেকে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু অভিযোগ বারবার বলার পরও তিনি হাজিরা দেননি। প্রথমে অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তারপর ভোটের কাজে ব্যস্ততার অজুহাত দেখান ছত্রধর। বারবার বলা সত্ত্বেও উপস্থিত না হওয়ায় আদালতের নির্দেশ মতো রবিবার সকালে লালগড়ের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য ৪০ জনের একটি দল গিয়েছিল। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে ছত্রধর মাহাতোর। জানেশ্বরী এক্সপ্রেস নাশকতায় জড়িয়েছিল তাঁর নাম। এরপর ২০০৯ সালে লালগড়ে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনেও তাঁর নাম জড়ায়। সেই মামলায় তাঁকে গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ১০ বছরের বেশি সময় জেলে কাটান ছত্রধর মাহাতো। এরপর ২০২০ সালে তিনি শুরুতে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান। কিছুদিন পরই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান তিনি। এর মধ্যে গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ফল ভাল হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের। এনিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই পরিস্থিতিতেই শাসকদলে যোগ ছত্রধরের। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য পদে নিযুক্ত হন তিনি। লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলের দলের কাজ সামলানোর ভার ছিল তাঁরই কাঁধে। শনিবার প্রথম দফা ভোট মিটতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।