বোলপুর: বাতাসে এখন বসন্তের ছোঁয়া। আগুনরঙা পলাশের মনোহর রূপ মোহিত করছে সৌন্দর্যপ্রেমী বাঙালিকে। সব কিছুর মধ্যে আজকের দিনটা তো আরও বিশেষ। কারণ আজ “স্থলে জলে বনতলে লাগলে যে দোল”। কিন্তু করোনার কারণে এ বছরের ছবিটা যেন কিছুটা আলাদা। করোনার কোপে এ বছর ম্রিয়মাণ বিশ্বভারতী। প্রতি বছর এই দিনটিতে যেখানে রঙিং হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন সেখানে এবছর সর্বত্র সাদা-কালো চিত্র।
এ বছর করোনার কারণে বিশ্বভারতীতে দোল খেলা হচ্ছে না। হচ্ছে না চির পরিচিত সেই বসন্ত উৎসব। অন্যবার দোল মানেই মন ছুটে যায় শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতী চত্বর সেজে ওঠে নানা রঙের আবিরে। রবি
ঠাকুরের গান আর নাচে মুখরিত হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতনের প্রতিটি জায়গা। উৎসব শেষে ইতিউতি পড়ে থাকে আবিরের চিহ্ন। কিন্তু এ বছর নেই “রাঙিয়ে দিয়ে যাও” সুর। কোথাও বাজছে না “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল লাগল যে দোল”। নিজের রূপ ছড়িয়ে পলাশ যেন একা একা মন খারাপ করে বসে আছে। করোনা বদলে দিয়েছে সবকিছু।
কিছুদিন আগে যখন করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল তখন আশায় বুক বেঁধেছিল আমবাঙালি। ভেবেছিল এ বছর হয়তো শান্তিনিকেতনে আবার বসন্তোৎসবের স্বাদ নিতে যাওয়া যাবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গোটা ছবিটাই গেল উলটে। ফের বাড়তে শুরু করল করোনা। আর এখন তো পরিস্থিতি আরও শোচনীয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যের ৮১২ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮৩৯ জনে। সুস্থতার হারও গতকালের তুলনায় কম। বর্তমানে ৯৭.৪৪ শতাংশ মানুষ মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার বলি দু’জন। কলকাতা মৃত্যুশূন্য হলেও প্রাণ হারিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দু’জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ হাজার ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিড-১৯-এ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.