ষড়যন্ত্রেই পায়ে আঘাত
১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ার গাড়ির দরজার চাপে পায়ে ও ঘাড়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা বলেছিলেন, এত নিরাপত্তা থাকলেও কী করে ষড়যন্ত্র কিংবা হামলা হতে পারে? নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছেন। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। সিটও তদন্ত করছে। এদিন সেই বিরুলিয়ায় সভা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, সেদিন বিরুলিয়ায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনা থেকে পায়ে আঘাত লাগেনি বলে জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এতে সাধারণ মানুষের কোনও দোষ নেই। তিনি এদিনও চার-পাঁচজনের ধাক্কার তত্ত্বেই অনড় রয়েছেন।
তাঁর জন্যই নন্দীগ্রাম বেঁচেছিল
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন তাঁর জন্যই ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম বেঁচে গিয়েছিল। তিনি সেদিন নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মাধ্যমে ঘটনার সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থাও করেছিলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন রাজারহাট-গোপালপুরের তৃণমূল প্রার্থী অদিতি মুন্সি। ভাষণের শুরুতেই তিনি অধিকারীর পরিবারের নাম করে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্নে ওঁরে ছিলেন না। টাকা লুকোতে গিয়েই তাঁরা বিজেপিতে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন সেদিন বাপ-ব্যাটা অনুমতি না দিলে পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না।
সব কিছু ছেড়ে নন্দীগ্রামে কেন
তিনি এদিন বলেছেন, নন্দীগ্রামকে প্রণাম করতে আর সেলাম করতেই সেখানে পড়ে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, ভবানীপুর তাঁর প্রিয় আসন। তা সত্ত্বেও তিনি নন্দীগ্রামে পড়ে রয়েছেন শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নয়। তিনি নন্দীগ্রামকে আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে যেতেই সেখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নন্দীগ্রামের ভূমিকন্যা তিনি
এদিন একদিকে যেমন নন্দীগ্রামে বহিরাগত ঢোকানোর অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে তিনি নিজেকে সেখানকার ভূমিকন্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের ভূমিকন্যার নামে একটা বাড়ি তিনি তৈরি করবেন। সেটা সকলের জন্য রেখে যাবেন। সেই বাড়ি সকলে দেখতে আসবে।