নতুন মুখের বদলে প্রার্থী করা হল প্রাক্তন আমলাকে
রবিবার তৃণমূলের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে এই প্র্রার্থী বদলের কথা। নলিনীরঞ্জন রায়কে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই কোন্দন ভোটের মুখে মারাত্মক আকার নিয়েছিল। তাই সেই ক্ষোভ প্রশমনে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। নতুন মুখের বদলে প্রার্থী করা হল প্রাক্তন আমলাকে।
শেষমেশ প্রার্থী বদল করতে হল তৃণমূলকে
ক্যাপ্টেন নলিনীরঞ্জন রায় বিজেপির সদস্য ছিলেন। তিনি ছিলেন বিজেপির আইটি সেলের নেতা। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তার পুরস্কারস্বরূপ পান প্রার্থীপদও। কিন্তু তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই এলাকায় গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়। প্রার্থী বদলের দাবি ওঠে। শেষমেশ প্রার্থী বদল করতে বাধ্য হল তৃণমূল।
তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রার্থীপদে অখুশি
তৃণমূল ভোট ঘোষণার পর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেন একেবারে ২৯১ আসনের। শুধু পাহাড়ের তিনটি আসন তাঁরা ছেড়ে রাখেন। মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির জন্য তিনি নলিনীরঞ্জন রায়ের নাম প্রকাশ করছিলেন। তারপর থেকেই দলের অন্দরে বিক্ষোভ চলছিল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রার্থীপদ প্রাপ্তিতে খুশি ছিলেন না কেউই।
আনকোরা অরাজনৈতিক মুখ এনে বিক্ষোভ সমাল দেওয়ার চেষ্টা
মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে নলিনীরঞ্জন রায়ের পরিবর্তে প্রার্থী করা হল রাজেশ সুন্দাসকে। তিনি পরিবহণ দফতরের আধিকারিক ছিলেন। তিনি যে দলে খুব পরিচিত ছিলেন তা নয়। আনকোরা অরাজনৈতিক মুখ এনে বিক্ষোভ সমাল দেওয়ার একটা চেষ্টা হল। এর আগেও তৃণমূল প্রার্থী বদল করতে বাধ্য হয়েছিল কয়েকটি কেন্দ্রে।