টোকিও : নতুন ধরনের একটি ব্যাসল্ট শিলার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে কাজ চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সময়েই একটি পাথর সমুদ্রের তলা থেকে তাদের কাছে আসে। সেই পাথর থেকে তাঁরা দেখেন ওটি একটি ব্যাসল্ট শিলা কিন্তু সেটি একদমই নতুন ধরনের শিলা। এটি তৈরি হয়েছে ম্যাগমার দ্রুত গতিতে ঠাণ্ডা হওয়ার ফলে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও লোহা আছে বলে জানা গিয়েছে। বয়স আনুমানিক ৫০লক্ষ বছর।
এই নতুন পাথরের খোঁজে কাজ করছিলেন অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান, জার্মানি, ইউনাইটেড কিংডম, সুইজারল্যান্ড, চিনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা সমুদ্র পৃষ্ঠের প্রায় ৬ কিলোমিটার ভিতরে খনন করেন। জাপান সমুদ্রের আমামি সানকাকুতে চলছিল এই কাজ। স্থানটি আবার জাপানের ফুজি আগ্নেয়গিরির ১০০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। মাটির ভিতরে ড্রিল ঢুকিয়ে বেরিয়ে আসার পর তাঁরা এমন কতগুলি জিনিস খুঁজে পান যা আগে কখনও দেখেননি।
দেখা যায় ওই অঞ্চলটি পুরোটাই প্রসান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’এর মধ্যে পড়ছে। অর্থাৎ প্রবল ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল। এখানে প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সক্রিয় টেকটনিক প্লেট। এর ফলে প্রায়ই এখানে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্গিরন হয়। এর জেরেই ওই ম্যাগমা যুক্ত অংশ সমুদ্রের জলের তলায় এসে পড়ে। দ্রুত ঠাণ্ডা হয়ে ব্যাসল্ট শিলায় পরিনত হয়।
পৃথিবীর সমস্ত আগ্নেয় শিলার ৯০ শতাংশের অধিক ব্যাসাল্ট, এবং প্রতি বছর প্রায় ২০টি আগ্নেয়গিরিতে ভূতাত্ত্বিকেরা ব্যাসাল্ট লাভা লক্ষ্য করেন। তুলনামূলকভাবে কম সিলিকা সামগ্রীর (৪৫% এবং ৫২% এর মধ্যে) কারণে গলিত ব্যাসল্ট লাভায় কম সান্দ্রতা রয়েছে, ফলে শীতকালে ঘনীভূত হত্তয়ার পূর্বে দ্রুত প্রবাহিত লাভা প্রবাহগুলি দুর্দান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। প্রবাহমান ব্যাসল্টগুলি এমন অনেক প্রবাহের ঘন ক্রম যা কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তার লাভ করে এবং সমস্ত আগ্নেয়গিরির গঠনের মধ্যে সর্বাধিক পরিমাণে গঠন করতে পারে। আগ্নেয়গিরিজাত শিলার ম্যাগমা পৃথিবীর পৃষ্ঠে উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এভাবে আগ্নেয়গিরিজাত শিলার রসায়ন পৃথিবীর অভ্যন্তরের গভীর অবস্থার সূত্র সরবরাহ করে।
এই আগ্নেয়শিলাকে উৎপত্তি অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা — নিঃসারী আগ্নেয় শিলা ও উদবেধী আগ্নেয় শিলা। ভূত্বক: প্রধানত এই আগ্নেয় শিলায় মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠিত। ব্যাসল্ট শিলা গঠিত অঞ্চল সাধারণত চেপ্টাকৃতি হয়। গঠনকারী খনিজ: ব্যাসল্ট গঠনকারী প্রধান খনিজ গুলি হল কোয়ার্টজ , ফেল্ডসপার, অলিভিন ও পাইরক্সিন। প্রকৃতি : এই শিলা খুব ভারী ও শক্ত হয়। ক্ষয় প্রতিরোধী এই শিলা গাঢ় ধূসর থেকে কালো রংয়ের হয়। বৈশিষ্ট্য: ব্যাসল্ট শিলা উলম্ব দারণ ও ফাটলের সংখ্যা খুব বেশি। এই শিলার প্রবেশ্যতা যথেষ্ট বেশি। খুব দ্রুত জমাট বেঁধে গঠিত হওয়ায় এর দানা গুলো বেশ সূক্ষ্ম হয়। ব্যাসল্ট এর দানার ব্যাস ১ মিলিমিটার এর কম। ব্যবহার: রেললাইনে ব্যাসল্ট শিলা ব্যবহার করা হয়। এই শিলা দিয়ে বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিসও বানানো হয়ে থাকে। রূপান্তরিত রূপ: ব্যাসাল্ট এর রূপান্তরিত রূপ হল অ্যাম্ফিবোলাইট ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.