মুম্বই: একমাসের সামান্য বেশি সময় আগে মিনি নিলামে তাঁকে রেকর্ড অঙ্কের চুক্তিতে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় রয়্যালস শিবির তাঁকে কিনে নেওয়ায় আইপিএলের ইতিহাসে এখনও অবধি সবচেয়ে দামী ক্রিকেটারের তকমা পেয়েছেন প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার ক্রিস মরিস। আর শনিবার সকালে আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার মুম্বইয়ের হোটেলে যোগ দিলেন রয়্যালস শিবিরে।
আপাতত কোয়ারেন্টাইনে প্রবেশ করেছেন তিনি। তবে তাঁর আগে টিম হোটেলে তাঁর পৌঁছনোর ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজস্থান রয়্যালস। রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজি লেখে, ‘অবশেষে অপেক্ষার অবসান। ক্রিস মরিস তোমাকে স্বাগত।’ রয়্যালস শিবিরে মরিস যে প্রথমবার তা নয়, এর আগে ২০১৫ রয়্যালস পরিবারের অংশ ছিলেন প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার। তবে গত মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু মরুশহরে তাঁর পারফরম্যান্স আশানরূপ না হওয়ায় নিলামের আগে এই অল-রাউন্ডারকে আর রিটেইন করেনি বিরাট নেতৃত্বাধীন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০২০ মরুশহরে ৯টি ম্যাচ খেলে ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অল-রাউন্ডার, ইকোনমি রেট ৬.৬৩। তবে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই মরিসই আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দর হাঁকিয়ে রয়্যালস শিবিরে যোগদান করায় অবাক হয়েছেন অনেকেই। উল্লেখ্য, আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার হওয়ার পথে মরিস ছাপিয়ে গিয়েছেন যুবরাজ সিং’কে। এর আগে আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার (১৬ কোটি) ছিলেন প্রাক্তন এই ভারতীয় তারকা।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৭৫ লক্ষ টাকার বেস প্রাইস থেকে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় মরিসকে কেনে রাজস্থান৷ প্রোটিয়া অল-রাউন্ডারকে কেনার জন্য নিলামের টেবিলে লড়াই জমে উঠেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটাল ও রাজস্থান রয়্যালেসর মধ্যে৷ কিন্তু মুম্বই ও দিল্লিকে টেক্কা দিয়ে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি দামে মরিসকে কিনে নেয় রয়্যালস৷ ৭৫ লক্ষ থেকে মরিসের দাম ১০ কোটিতে পৌঁছে দেয় মুম্বই ও দিল্লির লড়াই৷ তারপর নাছোড়বান্দা রাজস্থান আরও ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বেশি খরচ করে কিনে নেয় প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে৷
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৭০টি ম্যাচ খেলেছেন মরিস৷ প্রোটিয়া অল-রাউন্ডারের দখলে রয়েছে ৫৫৫ রান৷ স্ট্রাইক-রেট ১৫৭.৮৭৷ আর ৮০টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে৷ ইকনোমি রেট ৭.৮১৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.