স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে চিন
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইয়াং তাও বলেন, ‘খোলামেলা ও স্বচ্ছতা দেখানোই লক্ষ্য ছিল আমাদের। চিন খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে মহামারির সঙ্গে লড়ছে এবং এতে গোপন রাখার কোনও বিষয় নেই।' ২০১৯ সালের শেষের দিকে চিনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। মধ্য চিনের শহর উহানে এ বছরের গোড়ার দিকে হু-এর বিশেষজ্ঞরা পরিদর্শনে আসেন, কিন্তু তারপর থেকেই অনবরত রিপোর্ট দিতে দেরি করছেন তাঁরা। চিনের সঙ্গেই বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করছেন এবং উভয় পক্ষই চূড়ান্ত রিপোর্টের সঙ্গে একমত। তবে এটা স্পষ্ট নয় কবে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসবে।
চারটে সম্ভাব্য উপায়
চিনের দলের এক সদস্য ও চিনের সিডিসিপির ডেপুটি ডিরেক্টর ফেং জিজিয়ান জানিয়েছেন যে বিশেষজ্ঞরা উহান থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার চারটি সম্ভাব্য উপায় পরীক্ষা করে দেখেছেন।
বাদুড় থেকে সংক্রমণ
চারটে সম্ভাব্য উপায়ের মধ্যে প্রথম সম্ভাব্য উপায় বাদুড় থেকে করোনা ভাইরাস অন্তর্বতী স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, যা সংক্রমণ ঘটায় মানুষের মধ্যে। বরফে জমা খাবার ও উহানের ল্যাব খতিয়ে দেখা হয়েছে। গবেষকদের মতে, দু'টি প্রাণীর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এ ধরনের তথ্যের হদিশ পাওয়া যায়নি। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এই মন্তব্য সিসিটিভিতে সম্প্রচার হয়, যেখানে যোগ দিয়েছিল ৫০টি দেশ সহ আরব ও আফ্রিকা।
হু–এর রিপোর্ট প্রকাশ হতে দেরি
বিদেশ মন্ত্রক সাংবাদিকদের জানান যে বিশেষজ্ঞরা এখনও এই রিপোর্টের বিষয়বস্তু এবং অনুবাদ নিয়ে আলোচনা করছেন এবং এটি কবে প্রকাশ হবে তা জানা নেই। অন্যদিকে জেনেভাতে শুক্রবার হু-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে প্রায় ৪০০ পাতার রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে এবং সত্য যাচাই ও অনুবাদের কাজ চলছে। হু বিশেষজ্ঞ পিটান বেন এমবার্ক বলেন, ‘আমি আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে এবং আমরা তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে সফল হব।'