পুণে: শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগল মহারাষ্ট্রের পুনের এমজি রোডের ফ্যাশন স্ট্রিটের একটি বিখ্যাত উইন্ডো শপিং মার্কেটে। বিধ্বংসী এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে প্রায় ৫০০ দোকান। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ১৬টি দমকলের ইঞ্জিন এবং দুটি জলের ট্যাংক। তবে বিধ্বংসী এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। দমকল বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। যদিও কী কারণে এই অগ্নিকান্ড তা এখনও জানা যায়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১:০৬ মিনিট নাগাদ এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি প্রথমে দেখতে পান। তাঁরাই খবর দেন দমকলে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬ টি ইঞ্জিন এবং দুটি জলের ট্যাংক। ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এম.জি মার্কেটের অন্তত ৫০০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি তদারকি করতে রয়েছেন পুনের পৌর কর্পোরেশনের চিফ ফায়ার অফিসার প্রশান্ত রানপিস সহ ১০ জন ফায়ার অফিসার৷

তিনি বলেন, “শুক্রবার গভীর রাতের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফ্যাশন স্ট্রিট মার্কেটের এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দোকানদার ও হকারদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও কত পরিমাণ অঙ্কের টাকার ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।”

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পুনের এই এমজি রোডের ফ্যাশন স্ট্রিট একটি উইন্ডো শপিংয়ের জন্য বিখ্যাত একটি গন্তব্য। যেখানে পোশাক, জুতা, গগলস এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সামগ্রী বিক্রির জন্য ছোট ছোট আউটলেট রয়েছে। স্থানীয় এবং অন্যান্য ক্রেতাদের কাছে অন্যতম পছন্দের একটি মার্কেট ছিল এটি।

এদিকে শনিবার মুম্বইয়ের প্রভাদেবী অঞ্চলে বৈদ্যুতিক তারের গোডাউনে আরও একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকলের ১৫ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। জোরকদমে চলছে আগুন নেভানোর কাজ।

অন্যদিকে হায়দরাবাদের বাহাদুরপুরা এলাকায় একটি গোডাউন এবং ছয়টি দোকানে আগুন লাগে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের ভানুপ এলাকার একটি বেসরকারী কোভিড হাসপাতালে বিধ্বংসী আগুন লাগে। ভয়ঙ্কর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাসপাতালের একাংশ। ঘটনাস্থলে দমকলের ২২ টি গাড়ি আসে। পুলিশ এবং দমকল কর্মীদের তৎপরতায় শুক্রবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুনে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শপিং মলের তিন তলায় অবস্থিত এই হাসপাতালে প্রায় ৮০ জনেরও বেশি করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬ জনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলেও ততক্ষণে প্রাণ হারান ১১ জন।

মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) প্রশান্ত কদম জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে প্রায় ২২ টি দমকলের গাড়ি হাসপাতালে পৌঁছায় । রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রথমে শপিং মলের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। তারপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় শপিং মল বন্ধ থাকায় সেখানে কোনও প্রাণ হানি হয়নি। তবে শপিং মলের তিন তলায় এই হাসপাতালটি থাকায়। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।