কলকাতা: প্রথম দফার নির্বাচনে রিগিং ও হিংসা কম হয়েছে বলে এদিন দাবী করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর মতে সবাই নির্ভিকভাবে ভোটদিন করেছেন। সৌমেন্দুর গাড়িতে হামলা নিয়ে শাসকদলকে দুষলেন বিজয়বর্গীয়। এদিন তিনি সাংবাদিকদের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক বিজেপি নেতার কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করেন।

এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিশির বাজোরিয়া। সেখানে তিনি যে অডিও প্রকাশ করেন সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি কর্মী প্রলয় পালের কথাবার্তা উঠে এসেছে। ওই অডিও টেপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ‘সাহায্য’ করার অনুরোধ করেছেন। প্রলয় পাল উত্তরে বলেন তিনি প্রথম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। মমতা যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হন সেদিন তিনি উদযাপন করেন। কিন্তু এখন তিনি দল থেকে সরে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এও বলেন, তাঁকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেওয়া হত না। প্রলয় পালের সঙ্গে যা হয়েছে তার জন্য স্থানীয় প্রাক্তন তৃণমূলের এক নেতা দায়ী। তাদের জমিদারি চলত। তাই তিনি এলাকার দিকে নজর দিতে পারেননি।

এই অডিও টেপ প্রকাশ করে বিজেপির বক্তব্য, যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর কুর্সিতে থাকা কতখানি যুক্তিযুক্ত? রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। অডিও টেপ অনুযায়ী বিজেপি নেতা প্রকাশ পাল সরাসরি অধিকারী পরিবারকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাঁদের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাই এই পরিস্থিতিতে অধিকারী পরিবারকে ছেড়ে কোনওমতেই তিনি ও তাঁর পরিবার আসবেন না। প্রলয় পালের কথার পর অবশ্যই পাল্লা ভারী হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সৌজন্যতাবশত ফোন করেছিলেন। যারা অভিমানে দল ছেড়ে গিয়েছে তাদের জন্য মানভঞ্জনের নীতি নিয়েছে দল।

অন্যদিকে জয়প্রকাশ মজুমজার বলেছেন, “শুভেন্দু অধিকারী জিতছেন আঁচ পেয়েই বিজেপি নেতাকে ফোন মমতার।” তবে ঘটনা যাই হোক, ইতিমধ্যেই এই অডিও টেপ রিলিজ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা শুরু।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।