কলকাতা: লক ডাউনের এক বছর পেরোতেই সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে দেশবাসীর। মানুষের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল সেই দীর্ঘ প্রায় আট-নয় মাসের প্রতিটি দিন। মহামারীতে পরিবারের বহু মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের মৃত্যুকে দেখেছে চোখের সামনে থেকে। কেউ আবার মৃত্যুসময় ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে বেঁচে।
কিন্তু সেই লক ডাউন যে শুধু প্রাণ কেড়েছে বা মানুষের আর্থিক বুনিয়াদকে নাড়িয়ে দিয়েছে তা নয়, সেই সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক কোথাও গিয়ে আরো মজবুত হয়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারে মানুষ বেশি সময় পেয়েছে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর।
দাম্পত্য প্রেম যেমন বেড়েছে তেমন পারিবারিক হিংসার ছবিও বিক্ষিপ্তভাবে দেখেছি আমরা অনেকেই। তবে তার মাঝেই মনে সংশয়, চিন্তা, উত্তেজনা, আশঙ্কা নিয়েও বেশিরভাগ মানুষ নতুন দিনের স্বপ্ন দেখেছেন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে। তবে সেই “লক ডাউন প্রেম” কতটা জমেছে? সমীক্ষা কী বলছে দেখে নেওয়া যাক।
একটি বিশেষ সমীক্ষা বলছে যে এই সময়ে নাকি মোট ৪৭.৪% ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী অথবা হবু জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে রসায়নের বৃদ্ধি ঘটেছে। আবার অন্যদিকে, ৪৭.৩% ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সঙ্গেও সন্তানদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। আবার জনসংখ্যার বিচারেও বলা যায় যে লক ডাউনের সময়ে জন্মের বৃদ্ধির হার কোনোভাবেই কমেনি। জাতিসংঘের সর্বশেষ ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে যে নভেম্বর ৯, ২০২০ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১,৩৮৪,৮২৬,৭৮৫। ২০১৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২.৩৬। আবার গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে উর্বরতার হার বেড়ে হয়েছে ২.২৪। এই সংখ্যাগুলি সত্যিই অবাক করার মতোই।
অন্য আরেকটি দিক বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের নৈকট্য যেমন বেড়েছে তেমন নাস্তিকরাও আবার ঈশ্বরমুখী হয়েছে। মৃত্যুকে সবাই ভয় পায়। সেই মৃত্যুর ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া থেকে নিজে বাঁচতে আর নিজের একেবারে কাছের প্রিয়জনদের বাঁচাতে তারাও শরণাপন্ন হয়েছে ভগবানের।আবার মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রমী হয়েছে। তারা এটাও বুঝেছে যে বাঁচতে গেলে জীবনযুদ্ধে কোনো কাজই ছোট বা বড়ো হতে পারে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.