স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: নন্দীগ্রামে ভোটে সাহায্য চেয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতাকে ফোন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন সেই ফোনের রেকর্ডিং সারা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। সেই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি৷ তাদের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন৷
শনিবার যে অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে ফোনের একপ্রান্তে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য প্রান্তে বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। ওই অডিয়ো টেপে শোনা যাচ্ছে, এক মহিলাকণ্ঠ (যা মমতার বলে দাবি) প্রলয়ের কাছে ভোটে সাহায্য করার আবেদন জানাচ্ছে। যদিও প্রলয় ওই আবেদনকারিণীকে বলছেন, মমতার অনুরোধ রাখা তাঁর পক্ষে রাখা সম্ভব নয়৷ তিনি অধিকারী পরিবারের পাশেই থাকবেন৷ তবে অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা ২৪x7।
ওই অডিয়ো টেপটি নিয়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। দলের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটে দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে মমতা নিজের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এখন বিজেপি-কে ভাঙার চেষ্টা করছেন। দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওনার পার্টি ছেড়ে অনেকে চলে যাচ্ছে। দুর্দশা চলছে, উনি বিজেপি থেকে নেতাদের ডাকতেই পারেন। কিন্তু তৃণমূলের একজন প্রাক্তন নেতা পরিষ্কার করে দিয়েছেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্যই তিনি দল ছেড়েছেন। তাহলের বোঝা যায় দলটার কী অবস্থা। আর কেউ দল ছাড়লেই সে গদ্দার হয়ে যায়’।
শনিবারই কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। কমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান, ৯০ শতাংশ ভোট শান্তিপূর্ণ। পরের দফায় বাকি ১০ শতাংশ অশান্তিও যাতে না হয় তার জন্যই এ দিন বিজেপি কমিশনে যায় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার জন্য বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর নামও জমা দিয়েছেন তাঁরা। যার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকজনের নাম। এদের বিরুদ্ধে পুরনো অপরাধের মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.