স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দক্ষিণ কাঁথিতে ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন৷ প্রথম দফার ভোটে দক্ষিণ কাঁথির মাজনা হাই মাদ্রাসার ৭১ নম্বর বুথে বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ করে তৃণমূল। কমিশনের দাবি, এটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়৷
শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের ৭১ নম্বর বুথে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেছেন, ঘাসফুলে বোতাম টিপলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে৷ ভোটাররা জানান, তাঁরা তৃণমূলে ভোট দিলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে । ভিভিপ্যাটেও বেরোচ্ছে বিজেপির কাগজ। এর পরই বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী কারসাজি করে ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করছেন। ইভিএম না বদলালে ভোটগ্রহণ চালু করতে দেবেন না তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাজেহাল হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। উত্তেজনা থাকায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার।
তবে প্রিসাইডিং অফিসারের দাবি, এই অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়। ভোটাররা ভিভিপ্যাট দেখেছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ভোটারদের বিক্ষোভ যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতির তৈরি না নয়, সেই জন্যই বাধ্য হয়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, বেশ কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখার পর ওই বুথে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে তাদের পছন্দ মতো পাঁচ জন ভোটার পাঠাতে বলেন প্রিসাইডিং অফিসার। তাঁরা ভোট দিয়ে জানান ঠিক জায়গাতেই ভোট পড়েছে। তবে একটি জায়গায় ভিভিপ্যাটে কিছু সমস্যা থাকায় সেটি বদল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত কয়েক বছরে দেশে ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। এর আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কর্মী-সমর্থককে আবেদন জানিয়েছিলেন, ভোট দেওয়ার পর ভাল করে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট খতিয়ে দেখতে। যেখানে ভোট দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ, সেখানেই ভোট পড়ছে কি না, সেই বিষয়টা মাথায় রাখতে বলেছিলেন বুথকর্মীদেরও। এবং ভোটের পরে দলীয় কর্মীদের ইভিএম পাহাড়া দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.