এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ
এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পেয়ে, এদিন সকালে বুথে বুথে ঘুরতে শুরু করেন শালবনির সিপিএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। কয়েকটি জায়গায় এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পেয়ে তিনি নির্দিষ্ট বুথগুলিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একেবারে সকালের দিকে তিনি জানিয়েছেন ৫-৭ শতাংশ বুথে বামেরা এজেন্ট নির্দিষ্ট করতে পারেনি। শুক্রবার রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সুশান্ত ঘোষের চ্যালেঞ্জ
এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন বুথে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে নিয়ম বদল করেছে। আগেকার নিয়ম কেউ এজেন্ট হতে গেলে নির্দিষ্ট বুথ কিমবা পাশের বুথ থেকে এজেন্ট হতে পারতেন। এবারের নিয়ম হল, যে কেন্দ্রে ভোট এজেন্ট সেই কেন্দ্রের যে কোনও জায়গার হতে পারেন। যা নিয়ে এবারে সুবিধা পেয়েছে তৃণমূলকে বাদ দিয়ে বাকি সব দলগুলি। সিপিএম-এর অভিযোগ, বুথে এজেন্ট দেখতে পেয়েই তৃণমূলের তরফে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে। ভোটের শেষে বুথের বাইরে বেরোতে দেওয়া হবে না। যা নিয়ে এদিন সকালে সুশান্ত ঘোষ চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, কারও সাহস থাকলে একজন এজেন্টের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক। তার জন্য যতদূত যে তে তিনি যাবেন।
নিয়ম জানে না তৃণমূল
যেসব বুথে সকালে বাম এজেন্ট পৌঁছতে পারেননি, সেইসব জায়গায় নিজের এলাকার অন্য জায়গা থেকে এজেন্ট এনে বসানোর ব্যবস্থা শুরু করেন সুশান্ত ঘোষ। যা নিয়ে শালবনির শুক্লাতোড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টের সঙ্গে বচসা হয় সুশান্ত ঘোষের। বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের এজেন্টরা প্রাথমিক পার্টটুকুই জানে না। যা নিয়ে বুথের মধ্যেই তৃণমূলের এজেন্টের প্রতি সতিনি বলেন, তাঁকে যেন ভোট শেখানো না হয়। কেননা নিয়ম তিনি জানেন।
মানুষ ভোট দিতে পারলে তৃণমূল হারবে
গড়বেতা, শালবনি এলাকা একটা সময়ে সুশান্ত ঘোষের গড় বলে পরিচিত ছিল। সেই এলাকায় সুশান্ত ঘোষ এদিন সকালে বেড়িয়ে পড়েন। নিজের জয় নিয়ে তিনি বলেছেন, মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে তৃণমূল হারবে। কেননা গত কয়েকটা ভোটে তৃণমূল ভোট দিতে দেয়নি সাধারণ মানুষকে। গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করে রাখা হয়েছিল।