কলকাতা ২৪x৭: বামেরা ক্ষমতায় নেই এক দশক। এই এক দশকে বামেদের ভোট ভাঁড়ার খালি হয়েছে। চুঁইয়ে চুঁইয়ে যতটুকু রয়েছে তাই সম্বল করে বামেদের নেতৃত্বে নতুন সংযুক্ত মোর্চার সমীকরণে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। সেই আলোড়ন কতটা ভোটযন্ত্রে ঢুকবে তারই পরীক্ষায় প্রথম দফা ভোটে নেমেছেন সুশান্ত ঘোষ।

কেন্দ্র শালবনী। জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত এই কেন্দ্র থেকে রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন করার লড়াইয়ে নেমেছেন সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। বাম জমানার ৩৪ বছরের মধ্যে ৩২ বছরের বিধায়ক ছিলেন গড়বেতা কেন্দ্র থেকে। ২০১১ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চলা বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। তবে সুশান্তবাবু জিতে এসেছিলেন।

এরপর সুশান্ত ঘোষ কে ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়া বারবার সরগরম হয়েছে। নিজেরই এলাকায় বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডের জেরে নির্বাসিত হন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঢুকতে পারেননি দশ বছর। সুশান্তবাবুর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাঁকে আটকে রাখার জন্য ‘ফলস মামলা’ দিয়েছিল। আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফিরে এসেছি। এটা প্রত্যাবর্তনের লড়াই।

আর গড়বেতা নয়, এবার জেলার শালবনী থেকে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে লড়াই করছেন সিপিআইএমের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী। শালবনী কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীদের তুলনায় সুশান্ত ঘোষ বেশি আলোচিত। যদিও গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। আর বিজেপির ভোট বেড়েছে।

সুশান্ত ঘোষ শালবনী থেকে প্রার্থী হওয়ার পরেই এই বিধানসভা ও সংলগ্ন তিনটি বিধানসভা এলাকায় সিপিআইএম তৎপরতা বেড়েছে, এমনই মনে করছেন তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, পুরনো কায়দায় সুশান্ত ঘোষ এলাকা দখলের রাজনীতি শুরু করেছেন। আরও অভিযোগ, সুশান্ত ঘোষের নির্দেশে জঙ্গলমহলের গ্রামাঞ্চলে সিপিআইএম কর্মীরা তৃণমূল ও বিজেপির পার্টি অফিস দখল করছে। যদিও সিপিআইএমের দাবি, তাদের পুরনো পার্টি অফিসগুলো বেদখল হয়েছিল। সেসব পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপির প্রতি সুশান্তবাবুর কড়া হুঁশিয়ারি, বুথে বুথে থাকবে কড়া নজর। ভোট লুঠ করতে এলে গুটিয়ে দেওয়া হবে। শালবনী ঘিরে জমজমাট ভোট রাজনীতি। কেন্দ্রীয় বাহিনির উপস্থিতিতে ভোট হবে নির্বিঘ্নে দাবি নির্বাচন কমিশনের। ভোট কেন্দ্র পেরিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহলদারি।

সুশান্ত ঘোষের আগমনের পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল ও বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিস্তির্ণ এলাকা ঘিরে রাজনৈতিক সমীকরণে লেগেছে প্যাঁচ। শালবনী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্যাঁচ কষেছেন ‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ বিতর্কিত বইয়ের লেখক সুশান্ত ঘোষ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।