বান্দোয়ান: পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয় শনিবার। ঠিক তার আগের দিন উত্তপ্ত হল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান সেক্টর। এলকাায় একটি গাড়িতে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। অভিযোগের তীর মাওবাদীদের দিকে।
শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের গড়ুর গ্রাম পঞ্চায়েতর সাগা সুপুরডি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, গভীর রাতে চার জন মাওবাদী বেঁধে ওই গাড়িটিতে হামলা চালায়। তাদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওই গাড়িতে যাঁরা ছিলেন তাঁরা ভোটকর্মীদের খাবার দিয়ে ফিরছিলেন। গাড়িটি আটকানোর পর ওই গাড়ি থেকেই তেল নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। তবে জানা গিয়েছে আগুন লাগানোর আগে গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুরুলিয়া জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্র ভোট গ্রহণ হবে৷ কেন্দ্রগুলো হল- বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, বান্দোয়ান, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা, রঘুনাথপুর। এই জেলায় ১২৪ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করেছে। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে কমিশনের তরফে ঘোষণা মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। প্রথম দফায় মোট ৬৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির ৩০ টি আসনে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীদের সাহায্য করবে ১১ হাজার ৪১৫ জন রাজ্য পুলিশ। রাজ্যে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের নেতৃত্বাধীন দল কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়েছে, প্রতি বুথে অন্তত ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
পশ্চিমবঙ্গের ৩০টি আসনে শনিবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। পুরুলিয়া ছাড়াও যে জেলাগুলিতে আজ ভোটগ্রহণ হবে সেগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি উত্তর, কাঁথি দক্ষিণ, পটাশপুর, ভগবানপুর, রামনগর, খেঁজুরি, এগরা; পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, খড়গপুর, কেশিয়ারি, শালবনি, গড়বেতা, মেদিনীপুর; ঝাড়গ্রামের বিনপুর, নয়াগ্রাম, গোপিবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ, ছাতনা, শালতোড়ায় হবে ভোটগ্রহণ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.