পাটনা: বিহারে সম্প্রতি ক্লাস ১২ এর রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ছেলেদেরকে রীতিমতো মাত দিয়েছে মেয়েরা। আজও বিহারের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে মেয়েদেরকে পড়ানোর ব্যাপারে পরিবার অনেক সময় ইতস্তত করে, কিন্তু এবারের রেজাল্টে নিজেদের পরিবার ও এলাকার নাম উজ্জ্বল করেছে মেয়েরা। বিহারে প্রকাশিত হওয়া রেজাল্টে চতুর্থ স্থান পেয়েছে কল্পনা কুমারী। তাঁর রেজাল্ট সামনে আসার পরেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে তাঁর প্রতিবেশী ও বন্ধুরা।

বিহার-নেপাল সীমান্তের শিবপুরি মহল্লায় এক জরাজীর্ণ বাড়িতেই মা-বাবার-ভাই-বোনের সঙ্গে থাকে কল্পনা। ভাই-বোনের মধ্যে সেই সবচেয়ে ছোট। কল্পনার বড় দাদা এখন এয়ারফোর্সের জন্য তৈরি হচ্ছে। বোন অর্চনা কুমারী ও কল্পনা দুজনেই একসঙ্গে পড়াশোনা করেন। দুজনেই এবছর পরীক্ষা দিয়েছিল। অর্চনা পেয়েছে ৪৩৩ নম্বর, সেখানে কল্পনা রাজ্যের মধ্যে চতুর্থ স্থান পেয়েছে। কল্পনার বাবা ক্লাস সেভেন পাশ। অন্যদিকে তাঁর মা শুধুমাত্র সই করতে পারেন। তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থাও বেশি ভালো না। একটা ভাড়া নেওয়া টোটো চালিয়ে সংসারের সকলের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করেন কল্পনার বাবা।

কল্পনার এই আজকের সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর মা-বাবার অক্লান্ত পরিশ্রম। কল্পনাকে পড়াতে তাঁরা কারোর কাছ থেকে কোনও ধার নেননি ঠিকই, কিন্তু একসময় এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তাঁর পড়ানোর মাইনে দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের ১৫০০০ টাকা দামের একটি জুয়েলারি শেষমেশ ৮ হাজার টাকায় বেচে দেন। সেই টাকায় কল্পনার স্যারের মাইনে মেটানো হয়। এত কষ্ট হাসি মুখে সহ্য করেও মেয়ের পড়াশোনা কখনও থামাতে চায়নি কল্পনার মা-বাবা।

রেজাল্ট দেখার পরে কল্পনা জানিয়েছে, সে এরপর গ্রাজুয়েশন শেষ করার পরে সিভিল সার্ভিসের পড়াশোনা করতে চায়। তাঁর এই সাফল্যের কৃতিত্ব সে পুরোপুরি দিচ্ছে তাঁর শিক্ষক, বাবা-মা ও পরিবারকেই।

কল্পনার বাবা জানিয়েছেন, কল্পনা খুবই পরিশ্রম করে। আমার বাড়ির সব ছেলে মেয়েরাই বাবার কষ্ট বোঝে। কল্পনার মা জানিয়েছেন, একসময় এমন একটা সময় ছিল, যখন তাঁর হাতে এক টাকাও ছিল না। গয়না বেচে টিউশনের মাইনে দিতে হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “আজ মেয়ের সাফল্যে আমি দারুণ খুশি, মেয়ে আমাদের নাম উজ্জ্বল করেছে।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।