কলকাতা: করোনাকালে রাজ্যে প্রথম ভোট। প্রথম দফায় আজ রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু জঙ্গলমহলে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, রামনগর, কাঁথি উত্তর ও কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। করোনাকালে বিহারের পর এবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন চলছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে সচেষ্ট কমিশন। বুথে-বুথে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে মাস্ক পরে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বুথে ঢোকার আগে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। ভোটারদের গ্লাভস দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গ্লাভস পরে ভোট দিয়ে বেরিয়ে নির্দিষ্ট পাত্রে তা ফেলে আসতে হচ্ছে ভোটারদের। এছাড়াও বুথে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনাকালে নির্বাচন পরিচালনা করা এবার মস্ত চ্যালেঞ্জ ছিল কমিশনের কাছে। এর আগে বিহারে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। সেখানেও একইভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছিল। এবার বাংলাতেও করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনা করতে সচেষ্ট কমিশন। সংক্রমণ এড়াতে বুথের সংখ্যা বহু গুণে বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিটি বুথে এক হাজার জন ভোট দিতে পারছেন। বুথে ঢোকার আগে ভোটারদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে তাঁর দ্বিতীয়বার তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে। দ্বিতীয়বারেও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে ওই ব্যক্তিকে টোকেন দেওয়া হচ্ছে বিকেলের দিকে নির্দিষ্ট একটি সময়ে বুথে ভোট দিতে আসার জন্য।

এছাড়াও অশীতিপররা এবার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। করোনা আক্রান্তদেরও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে কমিশন। প্রতিটি বুথকে সংক্রমণমুক্ত রাখতে এবারের ভোটে শুরু থেকেই সজাগ দৃষ্টি ছিল কমিশনের। ভোটের আগের দিন রাতে প্রতিটি বুথ স্যানিটাইজড করা হয়েছে। সকাল থেকে কোভিড প্রোটোকল মেনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি কমিশনের। বুথে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যাপারেও বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।