স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: প্রথম দফার ভোটের দিনই নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল৷ গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় সৌমেন্দুর গাড়ির চালক গুরুতর জখম হয়েছেন৷
এদিন সংবাদমাধ্যমে সৌমেন্দুর অভিযোগ, শাহবাজপুরে তিনটি বুথে ছাপ্পা দিচ্ছিল তৃণমূল। সেখানে পৌঁছতে তাঁর গাড়ির ওপর হামলা হয়। তবে হমলার সময় গাড়িতে ছিলেন না তিনি। ছিলেন বুথের ভিতরে। ফলে তাঁর আঘাত লাগেনি। তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বে হামলা চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন সৌমেন্দুবাবু। হামলায় গাড়ির চালকের চোট লেগেছে। তাঁর হাতে মুখে আঘাত লেখেছে বলে জানিয়েছেন চালক। সৌমেন্দু আরও বলেন, ‘ তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য আমরা কমিশনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছি।’
কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন প্রধান ছিলেন সৌম্যেন্দু। দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি৷ দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রে তিনিই বিজেপি-র এজেন্ট। শনিবার সকাল থেকেই ওই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, আহত বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের ৭১ নম্বর বুথে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেছেন, ঘাসফুলে বোতাম টিপলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে৷ কমিশনে নালিশ জানিয়েছে তৃণমূল৷ তাদের অভিযোগ, ইভিএম হ্যাক করে ভোট লুঠ করছে বিজেপি। শনিবার সকালে বুথ থেকে বেরিয়ে কয়েকজন ভোটার জানান, তাঁরা তৃণমূলে ভোট দিলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে । ভিভিপ্যাটেও বেরোচ্ছে বিজেপির কাগজ। এর পরই বুথের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, অমিত শাহ ও শুভেন্দু অধিকারী কারসাজি করে ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করছেন। ইভিএম না বদলালে ভোটগ্রহণ চালু করতে দেবেন না তাঁরা।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাজেহাল হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। উত্তেজনা থাকায় ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার।
এদিকে, এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সাক্ষাতের পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দ্বিতীয় থেকে অষ্টম দফা পর্যন্ত বুথে এজেন্টদের সংশ্লিষ্ট বুথের হতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.