'উপমহাদেশের চিত্রটাই বদলে যেত...', ঢাকায় মোদীর বঙ্গবন্ধু বন্দনার নেপথ্যে কোন সমীকরণ

করোনা প্যানডেমিক পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তার আগে বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে তাঁকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন৷ যে প্রতিবেদনে মোদী বাংলাদেশ সম্বন্ধে নানা কথা বলেছেন৷ সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্ক রক্ষার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হত তাহলে উপমহাদেশের চিত্র বদলে যেত

পাশাপাশি মোদী আক্ষেপ করেছেন যে বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হত তাহলে উপমহাদেশ উন্নতির কোথায় পৌঁছাতে পারত৷ তিনি জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু থাকলে বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চল একেবারে অন্যভাবে এগিয়ে যেত৷ তিনি ওই লেখার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনও করেছেন৷

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলেন মোদী

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলেছেন মোদী৷ বারাণসী পর্যন্ত জলপথে পণ্য পরিষেবার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কার্গো নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবে ভারতের মাধ্যমে৷ আর ভারত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে কারগো পাঠানোর জন্য বাংলাদেশকে মাধ্যম করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

'বঙ্গবন্ধু থাকলে এই চুক্তি অনেক আগেই করা সম্ভব হত'

একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ও আখাউরা-আগরতলা রেল লিঙ্কের কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি৷ একই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক কিছু অনেক আগেই সম্পূর্ণ হতে পারত বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনে করেন৷ তিনি উল্লেখ করেছেন ২০১৫ সালের স্থলসীমা চুক্তির কথা৷ মোদী মনে করেন বঙ্গবন্ধু থাকলে এই চুক্তি অনেক আগেই করা সম্ভব হত৷

মোদীর কূটনৈতিক চাল

উল্লেখ্য, অতিমারির ভয়াবহতা এবং লকডাউন পরবর্তী সময় এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম কোনও রাষ্ট্রীয় সফর। অনুপ্রবেশ, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বা তিস্তা জলবণ্টন- এই বিষয়গুলি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার অমীমাংসীত আলোচনা হয়েছে। সন্দেহ নেই, আগামী দিনে আরও হবে। সেই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ-গুরুত্বপূর্ণও বটে। পাশাপাশি চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশেয়েটিভের মতো বিষয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ভারত ভাবিত। নয়াদিল্লি বিশেষ ভাবে এই দিকটায় নজর রাখছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে এসব কৃটনৈতিক সমস্যার রফাসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশআ করছেন মোদী।

মোদীর রাজনৈতিক 'অ্যাজেন্ডা'

এদিকে কূটনৈতিক ছাড়া এই সফরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণও। ২৭ মার্চ যখন পশ্চিমবঙ্গে যখন প্রথম দফার নির্বাচন, তখন মোদীর বাংলাদেশে উপস্থিতি অন্য দিক থেকেও তাত্পর্যপূর্ণ। এবং যে কারণেই প্রতিবেশি সাতক্ষীরা এবং গোপালগঞ্জে মোদীর পরিকল্পিত এই সফর। সাতক্ষীরার এক ছোট গ্রাম ঈশ্বরীপুরের যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওযার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এর পর গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দির একটি মন্দিরেও পুজো দেবেন তিনি। যশোরেশ্বরী মন্দিরটি বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ হিন্দু মন্দির। প্রতিদিন বহু মানুষের সমাগম হয় এখানে। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু ভাবাবেগ।

বাঁকুড়ায় দলীয় প্রার্থী সায়ন্তিকার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Know all about
নরেন্দ্র মোদী

More BANGLADESH News