মালদহ : নির্বাচনের প্রাক্কালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মালদহ থানার মুচিয়া এলাকার ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পাচার হওয়ার সময় অভিযান চালিয়ে ১৩০টি মহিষ উদ্ধার করল পুলিশ ও বিএসএফ। পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭ জন পাচারকারীকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরবেলা চারটি বড় কন্টেনারে ভরে পুরুলিয়া থেকে এই মহিষ গুলি উত্তরদিনাজপুরের ইসলামপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ ও বিএসএফ এই কন্টেনারগুলিকে আটক করে। সেই কন্টেনারের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় এই মহিষ গুলি। এগুলি এই মুহূর্তে বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে। মহিষ গুলি কিছুটা আহত থাকায় তাদের চিকিৎসা করছে বিএসএফ।
অন্যদিকে ১৭ জন পাচারকারীকে বিএসএফের পক্ষ থেকে মালদহ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতরা এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা। আটক হওয়া কন্টেনারগুলি উত্তরপ্রদেশের নাম্বারের। এই বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজরিয়া বলেন,গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে এই মহিষ উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এবছর নির্বাচনে অন্যতম ইস্যু গরু পাচার।
উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “আমরা বারবার বলেছি এই রাজ্যে শাসক দলের মধ্যে রমরমিয়ে চলছে গরু মহিষ পাচার। ইতিমধ্যেই অন্যতম পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাও শাসকদলের মদতে এখনও বেশ কিছু জায়গায় পাচার চলছে এই ঘটনা সবচেয়ে বড় প্রমাণ। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সম্পূর্ণ ভাবে গরু পাচার বন্ধ করা হবে।”
পাল্টা তৃণমূলের মালদহ জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “যে কন্টেনারগুলি আটক হয়েছে সেগুলি সবই হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের নাম্বারের। সুতরাং বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ থেকে এই গরু গুলি প্রথমে পুরুলিয়ায় আমদানি করা হয় সেখান থেকেই এগুলি পাচার করা হচ্ছিলো। বিজেপি গরু পাচার নিয়ে বড় বড় কথা বলে। আর ওদের শাসিত রাজ্য থেকেই গরু গুলি এই রাজ্যে ঢোকে। পথে কেন গরু গুলিকে আটকায় না? কেন এই রাজ্যের পুলিশকে ধরতে হয়।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.