নয়াদিল্লি: নতুন করে করোনা ফের মাথাচাড়া দিলেও দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো আটকাবে না। এমনটাই মনে করছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। লকডাউনের বর্ষপূর্তি দিনে এমন আশ্বাসবাণী দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় তিনি দাবি করেছেন, আবার করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়ালেও তাতে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া কোনভাবেই আটকে যাবে না। তাছাড়া আর একবার দেশজুড়ে লকডাউন হওয়ার কোন আশঙ্কা তার চোখে পড়ছে না বলে জানিয়েছেন।
ঠিক এক বছর আগে এইদিনে করোনা সংক্রমণ আটকাতে ভারতের লকডাউন জারি করা হয়েছিল। তার ফলে প্রায় একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে অবশ্য ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে দেশ। তবে এখন দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও একেবারে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি। আঘাত এতটাই গভীর যার জন্য ২০২০-২১ সালে জিডিপি ৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে আচ করা হচ্ছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে পূর্বাভাসের জানিয়েছেন পরের আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে অর্থনীতি ১০.৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে ফিরবে। এদিকে আবার পৃথিবী জুড়েই নতুন করে করোনা মাথাচাড়া দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের আশ্বাস বাণী , অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
শক্তিকান্তের বক্তব্য, অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়াকে রক্ষা করার জন্য এদেশে বিমা করা আছে। উদাহরণ হিসেবে জানিয়েছেন-সেটা হল দ্রুত প্রতিষেধক প্রয়োগ, সাধারণ মানুষের করোনা বিধি মেনে চলার ক্ষমতা। সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে করোন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেটা নিশ্চয়ই আশঙ্কার বিষয় বলে মনে করছেন। তবুও তার মনে হচ্ছে আর্থিক কর্মকাণ্ড যেভাবে বর্তমানে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তা আগামী দিনেও বহাল থাকবে। যার জন্য ইতিমধ্যে পরের বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হয়েছে তা সংশোধনের প্রয়োজন হবে না।
এদেশে ইতিমধ্যেই ৫০,০০০ বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্যে তা রীতিমতো বাড়তে দেখা গিয়েছে। যার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শক্তিকান্তের বক্তব্য, গত বছর যে লকডাউন দেখতে হয়েছিল এবার তেমন লকডাউনের আশঙ্কা নেই।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.