চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রীষ্মের উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে । তার চাইতেও বাড়ছে নির্নবাচনী বাকযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক নির্বাচনী প্রচারের উত্তাপ। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা থেকে শুক্রবার নজিরবিহীন ভাষায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না করে তাঁকে “হোঁদল কুতকুত “, বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার নির্বাচনী সভা থেকে অমিত শাহর নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিল্লির এক হোঁদল কুতকুতে মন্ত্রী আছে, বলছে, বাংলাকে দেখে নেবে। কী দেখবে? রাক্ষস নাকি যে বাংলাকে গিলে খাবে? মমতাকে গিলে খাবে? জেনে রাখো, আমাকে গিলে খেলে আমি পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসব।” গত পরশু একটি সভা থেকে অমিত শাহর নাম না করে তাঁকে “হোদল কুতকুত” বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার “হোঁদল কুতকুত” প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন অনেকটাই আগ্রাসী।
রাজ্যে শনিবার, ২৭ মার্চ শুরু হচ্ছে প্রথম দফার নির্বাচনা। ওইদিন ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ১ এপ্রিল । ওইদিন ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন থাকলেও এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হচ্ছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই এক সময়ের সেনাপতি বর্তমান বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তাই প্রচারে এখন চলছে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা। তবে প্রচারের প্রথম সারিতে রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। বিশেষত বিজেপি এবং তৃণমূলের বাকযুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ বাড়ছে ।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পায়ে চোট নিয়েও রোজই তিনটে করে সভা করছেন। একই দিনে তিনি কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবার মেদিনীপুরে পৌঁছে যাচ্ছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার একটি সভা থেকে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে অমিত শাহকে হুঁশিয়ারি দিলেন। মমতা নির্বাচনী প্রচারে বার বার দিল্লির বিজেপি নেতাদের “বহিরাগত” বলে নিশানা করছেন। এদিনও তার ব্যাতিক্রম হলো না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.