জল্পনা চলছিল চলতি সপ্তাহের আগের শুনানি থেকেই। এমনকী নির্বাচনী বন্ডের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। কিন্তু শুক্রবারের শুনানিতে নির্বাচনী বন্ডে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হলেন না শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।এদিকে এই বন্ডকে হাতিয়ার করেই দীর্ঘদিন থেকে গর্হিত উপায়ে ফায়দা তুলছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর তা রুখতেই কিছুদিন আগে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয় অ্যাসোশিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর।
এমনকী বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণের আগে পর্যন্ত পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে তা বিক্রি আগামী ১ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করার দাবি জানানো হয় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের তরফে। এবার এই মামলার শুনানিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “ ২০১৭ সালে ও ২০১৮ সালে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছড়াই দু-দফায় এই বন্ডের বাস্তবায়ন করা হয়। তাই অহেতুক এখন এটা নিয়ে জলঘোলা করা অর্থহীন।” এদিকে সহজ কথায় ইলেক্টরাল বন্ড কার্যত বিনা সুদের বিয়ারার বন্ড। এই বন্ডের অধীনে রাজনৈতিক দলগুলিকে নামহীন ভাবেই টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যিনি বা যে দল টাকা নিচ্ছে এবং যারা টাকা দিচ্ছে, তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে না এই বিনা সুদের বিয়ারার বন্ডে।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই এদিন সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, গত বছরের এপ্রিলে অন্তর্বর্তী আদেশ এই বন্ডের স্বচ্ছতা প্রমাণে রাজনৈতিক দলগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকী এই বন্ড প্রাপ্তির রসিদও নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে এই মামলার আগের শুনানিতেই এই নির্বাচনী বন্ডের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও অপব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তিরষ্কার করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। পাঁচ রাজ্যে ভোটের মুখে যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।
বাংলায় প্রথম দফার ভোটের আসনগুলিতে লোকসভার নিরিখে কাদের পাল্লা ভারী ছিল, একনজরে তথ্য