স্টাফ রিপোর্টার, মেদিনীপুর: বন্যায় ঘাটালের মানুষের বহু ক্ষতি হয়েছে। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি জীবনহানিও হয়েছে৷ ফলে মেদিনীপুরবাসী কয়েক দশকের দাবি, বন্যা ঠেকাতে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ রূপায়ণ করা হোক। কিন্তু সেই কাজ এখনও পর্যন্ত করতে না পারার জন্য কেন্দ্রকে দুষলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, ‘মোদী সরকারের অসহযোগিতার জন্যই প্ল্যান কার্যকর করতে সমস্যা হচ্ছে।’

 প্রয়াত সিপিআই নেতা গুরুদাস দাশগুপ্ত সাংসদ থাকাকালীন বহুবার সংসদে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ নিয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ২০১৪ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর অভিনেতা দেব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৯-এ দ্বিতীয়বার সাংসদ হয়েছেন দেব। কিন্তু সেই মাস্টার প্ল্যান পাশ হয়নি। শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে ঘাটালের দাসপুর এবং পরে চন্দ্রকোনা থেকে ফের সেই মাস্টার প্ল্যানের কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলছেন, “আপনাদের তিনটে সমস্যা। কপালেশ্বর কেলেঘাই। ওটা করে দিয়েছি। আর একটা মেদিনীপুরের খালের সংস্কার। ওটা ১৬০ কোটি টাকা খরচ করে করে দিয়েছি। আর একটা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। আমরা বলছি দিল্লিকে ক্লিয়ারেন্স দাও। না দেয় টাকা, না দেয় ক্লিয়ারেন্স। তা সত্ত্বেও চারটে খালের কাজ আমরা শুরু করেছি। বাদবাকি কাজ আমরা করে দেব।”

মমতা বলেছেন, “আপনারা জানেন ঘাটাল শহরের প্রাণ শিলাবতী নদী। সেই জন্যই এলাকাটি এক শস্যশ্যামল। চিরকাল মানুষ বলত কপালেশ্বর কেলেঘাই কবে হবে? ৩৪ বছরে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ করেনি। আমরা ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে এই প্রকল্প ৯৯ শতাংশ করে দিয়েছি। তাতে অনেক জায়গায় বন্যা হওয়া কমবে। তাতে দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, ডেবরা এই সব এলাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। কিন্তু দিল্লি আমাদের করতে দিচ্ছে না। ওরা অফিসটা কলকাতা থেকে বিহারে নিয়ে চলে গিয়েছে।” তিনি আরও বলছেন, “আমরা বলেছি ২০০০ কোটি টাকা আস্তে আস্তে দিয়ে দেব। আমরা করে দেব। যাতে এই সব ব্লক বন্যায় না ভাসে। একটু সময় লাগবে করতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার করতে দিচ্ছে না। তা সত্ত্বেও কিছু কাজ ইতিমধ্যেই করেছি।” এরপর হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত না হলে মোদীর অফিসে গিয়ে এবার ধর্ণা দেব।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।