তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া :  ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ছাড়া করতে গিয়ে আপনারা দিল্লী ছাড়া হবেন। মানুষ কড়ায়-গণ্ডায় জবাব দেবে। দাবি তৃণমূল যুব সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার বিষ্ণুপুরে দলের এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তিনি আরও বলেন, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস মুখে যা বলি তা করে দেখাই। আর বিজেপির ইস্তাহার ‘ভাঙ্গা অডিও ক্যাসেট’।
এদিন তৃণমূল যুব সভাপতির বক্তব্যের দীর্ঘ সময় জুড়ে ছিল বিজেপি বিরোধিতা। তিনি বলেন, বিজেপি এখন বলছে ‘সোনার বাংলা করবো’। বিজেপি শাসিত রাজ্য ও দেশ এখনও কেন সোনার হয়নি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘সোনার বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গড়েছেন। এখানে বিনা পয়সায় শিক্ষা, রেশন, চিকিৎসা পরিষেবা মেলে। যা বিজেপি কোথাও করে দেখাতে পারেনি। পেরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপি নেতারা যেভাবে বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছে তার যোগ্য জবাব দেওয়ার ভার উপস্থিত জনতার উপর ছেড়ে দেন তিনি।
‘দুয়ারে সরকার আর স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ড ‘ভাঁওতা’ বলা দিলীপ ঘোষের দাদা-বৌদি ওই কার্ড করিয়েছেন, দাবি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যের ১০ শতাংশ মানুষকে সুযোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সবাইকে পরিষেবা দিয়ে থাকেন বলেও তিনি দাবি করেন।
বিষ্ণুপুরে এদিনের সভায় যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঐ কেন্দ্রের প্রার্থী অর্চিতা বিদ সহ অন্যান্যরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিষ্ণুপুরের নির্বাচনী জনসভা শেষে সোনামুখী ও সবশেষে তালডাংরার বিবড়দা কলেজ মাঠে এক সভায় বক্তব্য রাখেন।
এদিকে শনিবার ২৭ মার্চ থেকে রাজ্যে বিধানসভা ভোট শুরু। রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে। এবারের বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে তৎপরতা তুঙ্গে কমিশনের। বাংলার সীমানাগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম দফার ভোটের আগে রাজ্যের সীমানায় নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওানরা। রাজ্যে ঢোকার পথগুলিতে নাকা চেকিং-সহ একাধিক বন্দোবস্ত।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট শান্তিপূর্ণ করাটা এবার মস্ত চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার একাধিক প্রান্তে হিংসা, অশান্তির খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। যার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তারপর থেকেই একুশের বিধানসভা ভোট নিয়ে বাড়তি তৎপরতা নেয় কমিশন। ভোটের বহু আগে থেকে রাজ্যে বারবার এসে এখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে যায় নির্বাচন কমিশন। বাংলার ভোট শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ পর্যবেক্ষক, বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাঁরাও গত সপ্তাহখানেক ধরে দফায় দফায় বাংলায় এসে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।