পুনে: বাইশ গজে সময়টা ভালো যাচ্ছে না টিম ইন্ডিয়ার চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবের। এমনিতেই ফর্মের ধারেকাছে নেই তিনি। তার উপর শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে এক অযাচিত নজির গড়ে ফেললেন নাইট রাইডার্স স্পিনার। বল হাতে ব্রেক থ্রু দিয়ে দলকে তো কোনও সাহায্য করতে পারলেনই না, উলটে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে আটটি ছক্কা সহযোগে ৮৪ রান হজম করলেন চায়নাম্যান বোলার।
আর ৮টি ছক্কা হজম করেই অনভিপ্রেত নজিরটি লেখা হয়ে যায় কুলদীপের নামের পাশে। ওয়ান-ডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে কোনও ভারতীয় বোলারের হজম করা সর্বাধিক ছক্কার নজির এটাই। পুনেতে শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা হজম করার নিরিখে প্রাক্তন পেসার বিনয় কুমারকে টপকে যান কুলদীপ। ২০১৩ বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৭টি ছক্কা হজম করেছিলেন বিনয় কুমার।
অযাচিত এক রেকর্ডের পাশাপাশি বোলারদের মধ্যে এদিন সর্বাধিক রানও খরচ করেন কুলদীপ। ভারতীয় বোলারদের উপর এদিন এমনিতেই নির্মম ছিলেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। কুলদীপ সেই নির্মমতার সবচেয়ে খারাপ শিকার। যদিও ইকোনমি রেটের দিক দিয়ে দেখতে গেলে কুলদীপকে ছাপিয়ে শীর্ষে ক্রুনাল পান্ডিয়া। এদিন তাঁর মাত্র ৬ ওভারে ৭২ রান সংগ্রহ করেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। অর্থাৎ, ইকোনমি রেট ১২। ওয়ান-ডে ক্রিকেটের নিরিখে যা চূড়ান্ত হতাশার।
এদিন পুনেতে দ্বিতীয় ওয়ান-ডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৬ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে টিম ইন্ডিয়া। কেএল রাহুলের ১০৮, কোহলির ৬৬, পন্তের ৪০ বলে ৭৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস এদিনই সিরিজ জিতে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। কিন্তু শামি-বুমরাহ হীন টিম ইন্ডিয়ার আপাত নিরীহ বোলিং বিভাগকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং’য়ে ভারতীয় বোলারদের মনোবল তলানিতে নিয়ে যান তারা।
ওপেনিং জুটিতে ১১০ রান ওঠার পর হারানো মনোবল আর ফিরে পাননি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, শার্দুল ঠাকুররা। একটি উইকেট নিলেও ১০ ওভারে ৬৩ রান খরচ করেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার। জেসন রয়ের ৫৫, বেয়ারস্টোর ১২৪ এবং স্টোকসের বিস্ফোরক ৫২ বলে ৯৯ জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ডের। ৩৯ বল বাকি থাকতে ৩৩৭ রান তাড়া করে সিরিজে সমতা ফেরায় ব্রিটিশরা। ইংল্যান্ড জেতে ৬ উইকেটে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.