ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি সাধারণ জনগণকে করোনা সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি নিজেই কোভিড -১৯ বিধি ভাঙছেন।গত সপ্তাহে, ইমরান খানের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল, এর পরেও, বৃহস্পতিবার তিনি ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করেছেন।আর ইমরান খানের নির্বুদ্ধিতা ফাঁস করেছেন তার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শিবলি ফরাজ নিজেই।তিনি নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

করোনার প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নিজের তৈরী করা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে পাকিস্তানে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে যে, যখন নিয়ম তৈরিকারী নিজেই নিয়ম লঙ্ঘন করেন , তখন করোনার সাথে লড়াইটা কীভাবে হবে? একটি ছবি পোস্ট করে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শিবলি ফরাজ লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ বনি গালায় মিডিয়া টিমের সঙ্গে’। ছবিতে করোনায় আক্রান্ত ইমরান খানকে ছয়জনের সঙ্গে দেখা করতে দেখা গিয়েছে।তবে ইমরান ও বৈঠকে উপস্থিত সকলে মুখে মাস্ক পরেছেন এবং সামাজিক দূরত্বও অনুসরণ করেছেন। তবে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাদের তীব্র সমালোচনা করছে সাধারণ মানুষ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। কেউ বলছেনযে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন তখন তিনি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন।অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন যে এটি একটি বড় সমস্যা, ইমরান অসুস্থ হলে তার সাথে দেখা করার আরও ভাল উপায় খুঁজে বের করা উচিত ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০ই মার্চ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। টুইট করে একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফয়জল সুলতান।দুই দিন আগেই চিনা করোনা রোধক টিকা নিয়েছিলেন তিনি। শত্রুতা ভুলে প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রনেতার সুস্থতা কামনায় টুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) জারি করা তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে ৩৮ হাজার ৮৫৮ টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে , যার মধ্যে ৩ হাজার ৯৪৬ টি ইতিবাচক রিপোর্ট এসেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

করোনা পরিস্থিতির জন্য থিয়েটার জগতের অবস্থা কঠিন। আগামীর জন্য পরিকল্পনাটাই বা কী? জানাবেন মাসুম রেজা ও তূর্ণা দাশ।