নয়াদিল্লি: সংযুক্ত কৃষক মোর্চা (Samyukta Kisan Morcha)-র ডাকে আজ ভারত বনধ। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে কৃষকদের ডাকে আজ বনধ। কৃষকদের ভারত বনধের পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের দাম-বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ ‘চাক্কা জ্যাম’-র ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া ট্রান্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। নায় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ১০০ দিনের বেশি সময় পরেও অনড় অবস্থান কৃষকদের। দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে রেখে দিয়েছেন হাজার-হাজার কৃষক। আইন বাতিল না হলে দিল্লি ছাড়বেন না তাঁরা, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা।
গত বছরের শেষের দিকেও ভারত বনধ ডেকেছিলেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। কৃষি আইনের প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে রেল রোকো কর্মসূচিও করেন তাঁরা। আজ ফের কৃষকদের ডাকে ভারত বনধ। দেশের আপামর কৃষক সমাজের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদেরও তাঁদের ভারত বনধ কর্মসূচি সাফল করতে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন অন্নদাতারা।
দিল্লির সীমানা কৃষকদের বিক্ষোভ তার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কষকদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে দফায়-দফায় আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের। তাতেও বিপত্তি মেটেনি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনই আইন কার্যকর করার পথে হাঁটেনি। আপাতত তিনটি আইনই স্থগিত রেখেছে কেন্দ্র। এদিকে, কৃষি আইনের প্রতিবাদে ভারত বনধের জেরে ইতিমধ্যেই শুক্রবার সকাল থেকে পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় শুরু প্রতিবাদ।
আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে বনধের ডাক দেন কৃষকরা। তবে ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরালা, পুদুচেরিতে বনধ পালন করা হচ্ছে না। এই রাজ্যগুলিতে ভোটের কারণেই বনধ পালন করা হচ্ছে না।
কৃষি আইন বাতিলের দাবি এবং ন্যূনতম সহায়তার আইনগত গ্যারান্টি দাবিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাজার হাজার কৃষক দিল্লি সীমান্ত বরাবর- সিংঘু, টিকরি এবং গাজীপুরে চার মাস ধরে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। এর আগে, কৃষক নেতা বুটা সিং বুর্জগিল বলেছিলেন যে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ ৪ মাস পূর্ণ করলে ২৬শে মার্চ অন্নদাতারা সম্পূর্ণ ভারত বনধ পালন করবে। সেই মতো আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ভারত বনধ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.