স্টাফ রিপোর্টার, মেদিনীপুর: কাঁথি থেকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা৷ শুক্রবার দাসপুরে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, বিজেপি বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে এসে ভোট করাতে চাইছে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সব খবর আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত এগারোটার সময় উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা অস্ত্র হাতে ধরা পড়েছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কী করার ষড়যন্ত্র করছে এঁরা, মীরজাফররা? এদের জবাব দেবেন। আর সমস্ত রকম সুবিধা চাইলে আমাকে ভোট দেবেন।’
এদিন দাসপুর থেকেও মমতা বলেন, ‘অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জায়গা নেই। মেশিন ভালো করে পরীক্ষা করে নিন। ভিভিপ্যাট দেখে নিন। বিজেপির মতো শয়তানের দল নেই। ইউপি, বিহারের পুলিশ আসবে৷ বিজেপির ইউপি’র পুলিশ আসবে। তাই নিজেরা থাকবেন। ওরা দিলেও বিরিয়ানি আর চা খাবেন না।’ এখন প্রতিটি সভাতেই বিজেপির ‘কারচুপি’ নিয়ে সরব হচ্ছেন মমতা। ইভিএম চেক থেকে ভোটের দিন সার্বিক নজর, বুথ কর্মীদের বারেবারে সতর্ক থাকার কথা বলছেন তিনি। মক পোলিং ৩০ বার করতে বলেছেন। দু’বার ইভিএম সুইচ অফ সুইচ অন করতে বলেছেন। ভিভিপ্যাট মেশিন ভাল করে পরীক্ষা করতে বলেছেন। বারবার নিজেদের বাড়ির খাবার ছাড়া অন্য খাবার খেতে নিষেধ করছেন মমতা। মমতার কথায়, ‘ চক্রান্ত করে কেউ বা কারা তাদের খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ বা এমন কিছু মিশিয়ে দিতে পারে। যাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হয়ে পড়ায় ভোটের দিন বা পরে অন্যরকম খেলা হতে পারে।’এমনকি বন্ধুদের থেকে চা খেতেও নিষেধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামে ১ এপ্রিল ভোট। এদিন সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন মমতা। জানিয়ে দেন, ‘আমি নন্দীগ্রামে ১ তারিখ অবধি থাকব। ভোট করে আমি যাব। গুন্ডাদের আনছে। বহিরাগতদের ঢুকতে দেবেন না। গুন্ডা নিয়ে গুন্ডামি করলে ছেড়ে দেবেন না। মায়েরা হাতা খুন্তি নিয়ে তাড়া করবেন।নিজের ভোট যাতে নিজেরাই দিতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে আপনাদের।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.