ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে নক্ক্যারজনক ঘটনা। ইউনিভার্সিটির মধ্যেই অফিস কম্পিউটারে নীল ছবি চালিয়ে দেখত কর্মীরা! ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই ৫ স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে ও অন্য অপর এক স্টাফের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছে। গোয়ালিয়রে জিওয়াজি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কাণ্ড ঘটেছে। জানা গিয়েছে, কর্মীরা ১২৫৬ মিনিট ধরে নীল দুনিয়ার ভিডিও দেখেছিল।
জানা গিয়েছে, ওই ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ৭ থেকে ৮ জন কর্মী এমন কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইউনিভার্সিটির মধ্যে বসে অফিস আইডি ব্যবহার করে চলত নীল দুনিয়ার ভিডিও দেখা। তাঁরা একমাসে প্রায় ১২৫৬ মিনিট ভিডিও দেখেছেন। মোট আটটি আইডি দিয়ে লগ-ইন করে চলত নীল দুনিয়ার ভিডিও দেখা। এই কর্মচারীদের মধ্যে ২ জন আবার মহিলা কর্মী।
এএনআইয়ের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রেগুলার ও আউটসোর্স কর্মচারীরাও এই নীল দুনিয়ার ওয়েবসাইটে ঢুকতেন। একটি সূত্র মারফৎ রিপোর্ট পেয়ে ব্যাপার খোলসা করতে উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির রিপোর্ট পেশের পরেই এ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা যাচ্ছে, ইউনিভার্সিটির যে ফ্রি অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক রয়েছে, তা ব্যবহার করেই নীল ভিডিও-র সাইটগুলিতে ভিডিও দেখতেন এই কর্মচারীরা। ব্যাপার প্রকাশ্যে আসার পরেই ৪ জন অস্থায়ী কর্মী ও ১ গেস্ট ফ্যাকল্টিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এবং যে ব্যক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মী তাঁকে শো-কজ করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তার কারণ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে।
যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া ২ জন এমন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের বয়স ৫৮ বছর। আর কিছুদিন পরেই তাঁরা অবসর নিতেন। কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা অন্য ওয়েবসাইট সার্চ করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু নীল ভিডীও-র ওয়েবসাইট নিজে থেকেই খুলে যাচ্ছিল।
তবে গোটা ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। একই সঙ্গে কঠোর হাতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.